জীবন হল নদীর মতো। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একটা দীর্ঘ যাত্রাপথ পার করতে হয় সকলকেই। আর এই লম্বা যাত্রাপথে এক অধ্যায়ের নাম হল সম্পর্ক। সম্পর্ক ছাড়া জীবন অর্থহীন। আর সম্পর্ক তৈরি করতে একজন পুরুষ বা মহিলার কাছে বিয়ে হল জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই একটি ঘটনার পর দুটি জীবন বদলে যায় অনেকটাই। বদলে যায় চারপাশ, বদলে যায় জীবনধারা, বদলে যায় সবকিছু। কারণ বিয়ের পর যেমন চিন্তাভাবনা বদলে ফেলতে হয়, তেমনই বদলে ফেলতে হয় আগামীর পরিকল্পনা।
আমাদের সমাজে বিয়ের পর দম্পতিদের যে বিষয়টির সামনাসামনি হতে হয় আমাদের, তা হল সন্তান নেওয়া। বংশবৃদ্ধির জন্য সন্তান নরম ভীষণভাবে জরুরি। তাই বিয়ের একবছর হতে না হতেই অনেক বাড়িতেই সন্তান নেওয়ার চাপ বাড়তে থাকে। তবে অনেকেই বারবার চেষ্টা করেও সন্তান লাভ করতে পারেন না। শারীরিক সমস্যা কিছু না থাকলেও এমনটা হয় নানা কারণে। তাই জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন কিছু নিয়মাবলী রয়েছে, যেগুলি পালন করলে এই সমস্যার কিছুটা সুরাহা করা সম্ভব। একনজরে দেখে নিন সেইসব উপায় সম্পর্কে।
● গোপাল মন্ত্র জপ: সন্তান লাভের ইচ্ছে থাকলে বাড়িতে গোপাল মূর্তি এনে রাখুন। প্রতিদিন তিন বেলা গোপালের পুজো করুন। প্রতিদিন গোপালের মন্ত্র জপ করুন। জন্মাষ্টমীর দিন বিশেষভাবে পুজো করুন। গোপালের মুকুটে ময়ূর পালক দিয়ে রাখুন। এতে সন্তান লাভের পথ সুগম হবে।
● মুগের ডাল খাওয়া: সন্তান লাভের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যদি সন্তান লাভ না হয়ে থাকে, তাহলে মুগের ডাল খেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে সেদ্ধ করে খাওয়া চলবে না। কাঁচা সবুজ মুগ ডাল ভিজিয়ে অঙ্কুরিত করে খেলে উপকার মিলতে পারে।
● জাফরানের ব্যবহার: প্রতিদিন সকালে একটু গঙ্গা জলে দুটি জাফরান ভিজিয়ে দিন। সকালে স্নান সেরে ঠাকুরের পুজো করুন। আর পুজোর শেষে সেই জাফরান ভেজানো গঙ্গা জলের টিকা নিন কপালে। এতে সন্তান লাভের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
● বিছানার চাদর নির্বাচন: সন্তান লাভের পরিকল্পনা করলে বিছানার চাদরের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে দম্পতির বেডরুমে কখনোই কাঁটাযুক্ত গাছ বা শুকনো পাতা বা পাহাড়ের ছবি দেওয়া বিছানার চাদর ব্যবহার করা চলবে না। এছাড়াও কালো বা হলুদ রঙের চাদর বিছানায় না পাতাই ভালো। এক্ষেত্রে বিছানায় লাল বা গোলাপি বা আকাশি রঙের চাদর পাতা হলে সুফল মিলতে পারে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। কোনরূপ কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়।