প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Onion: ঈদের আগে বাংলাদেশে পেঁয়াজ পাঠাচ্ছে ভারত, জলের দরে পেঁয়াজ মিলবে প্রতিবেশী দেশে

ইসলাম ধর্ম মতে হিজরি বছরের গণনা অনুযায়ী নবম মাসকে ‘রমজান’ মাস বলা হয়। ‘রমজান’ এটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো, প্রখর তাপ, উত্তপ্ততা, সুর্যের তাপে উত্তপ্ত মাটি ইত্যাদি। এই মাসেই…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

ইসলাম ধর্ম মতে হিজরি বছরের গণনা অনুযায়ী নবম মাসকে ‘রমজান’ মাস বলা হয়। ‘রমজান’ এটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো, প্রখর তাপ, উত্তপ্ততা, সুর্যের তাপে উত্তপ্ত মাটি ইত্যাদি। এই মাসেই মুসলমানরা ফরজ রোজা পালন করে থাকেন। কয়েক সপ্তাহ আগেই চাঁদ দেখে রোজার উপবাস শুরু করেছেন ভারতীয় মুসলিমরা। এক মাস উপবাস রাখবেন তারা। সারাদিন উপবাস করে সূর্যাস্তের পর চাঁদ দেখে ইফতার করবেন তারা। এভাবেই চলবে একমাসের রোজা। একমাস শেষে পালন হবে পবিত্র ঈদ। এবছর ১০ এপ্রিল বা ১১ এপ্রিল ঈদ পালন করা হতে পারে।

তবে খুশির উৎসব ঈদের আগেই নতুন সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশের মানুষজন। কারণ সেখানে অত্যধিক হারে যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ঘটছে, তাতে কার্যত নাভিশ্বাস উঠছে দেশের মধ্যবিত্ত মানুষের। ইতিমধ্যে সেখানে গরু মাংসের দাম পৌঁছে গিয়েছে কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায়। এবার সেই মাংস রান্না করতে গেলে যেসব উপাদান লাগে, সেগুলিরও দাম বেড়েছে অত্যধিক হারে। গত কয়েক মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যেন গোটা দেশে এক চরম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে। মশলাপাতি থেকে সবজি, মাছ-মাংস, চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

আর এই মুহূর্তে বাংলাদেশে চোখ রাঙাচ্ছে পেঁয়াজের দাম। গত ডিসেম্বরে ভারত যখন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়, তখন থেকেই একটু একটু করে দাম বাড়ছিল পেঁয়াজের। আর মার্চ পেরিয়ে এপ্রিল শুরু হতেই পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি যেন পকেটে টান ফেলেছে অনেকের। তবে এবার ভারতের সাহায্যে সেই মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা হলেও থিতু হতে চলেছে বাংলাদেশে। এবার ভারত পেঁয়াজ পাঠানো শুরু করলো বাংলাদেশে। জানা গেছে, প্রথম দফায় ভারত ৬৫০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পৌঁছানোর কথা রয়েছে বাংলাদেশে। আর এমনটা হলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও ভারত থেকে আগত এই পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিল দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। রবিবার এই পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়। এই কমিটি সেখানে পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিয়েছেন একটা গণ্ডিতে। এই মর্মে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম জানান যে, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের মাধ্যমে এই ভাবতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। এই পেঁয়াজ বিক্রির দাম নির্ধারিত হয়েছে প্রতি কেজিতে ৪০ টাকা। তিনি জানান যে এই দামে দেয়াহে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হলে ৬৪টি জেলার মধ্যে ৩০টিতে পেঁয়াজের দাম কমানো সম্ভব হবে প্রথম দফায়।