দেশের কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের অধীনস্থ একাধিক সেক্টরে লক্ষাধিক কর্মী নিযুক্ত আছেন। আর সরকার সেক্টর অনুযায়ী বেতনের পাশাপাশি আরো একাধিক ভাতা প্রদান করে থাকে কর্মীদের। আর সেইসব ভাতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মহার্ঘভাতা বা DA। কেন্দ্রের বেতন কমিশন অনুযায়ী এই ভাতা পরিবর্তিত হয়। আর কেন্দ্রের দেখানো এই পথেই দেশের সমস্ত রাজ্যও হাঁটে। অর্থাৎ কেন্দ্র সরকারের মতোই একইভাবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA পরিবর্তন করে দেশের রাজ্যগুলি।
সামনেই লোকসভা ভোট। দেশের গণতন্ত্রের সবথেকে বড় উৎসব এই নির্বাচন। সেই কারণেই চলতি বছরের শুরুতেই যেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য আসবে এক বড়সড় সুখবর, তা মোটামুটি নিশ্চিত। এদিকে কেন্দ্রের মতোই অন্যান্য রাজ্যের সরকারগুলি কর্মীদের মহার্ঘভাতা প্রদান করে থাকে। সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার তাদের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছে। যার ফলে খুশির জোয়ার এসেছে সেইসব রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মধ্যে। তবে ভোটের আগে কর্মীদের খুশি করার তালিকায় নাম জুড়ে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যের সরকার।
মাসখানেক আগে রাজ্য বাজেট পেশের সময় রাজ্য সরকারি কর্মীদের একটি বড় উপহার দেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ আরো ৪ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন। সেই মোতাবেক, রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় এই বর্ধিত ডিএ পাবেন। অর্থাৎ, এবার থেকে ১০ শতাংশ নয়, ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন রাজ্যের কর্মীরা। আগামী মে মাস থেকেই কার্যকর হবে এই বর্ধিত ভাতা। যদিও তাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের ডিএ পার্থক্য তেমনভাবে কমেনি।
এছাড়াও তারও কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বড় উপহার দিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অসন্তোষ কমাতে গতবছর একটি বড় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন যে, ২০২৪ সালেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ানো হবে। কেন্দ্রের মতোই ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে রাজ্য সরকারি কর্মীরা ৬ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন। তবে এই বৃদ্ধির জেরে এই ভাতার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশ। আর বাজেটে বৃদ্ধি নিয়ে সেটি হয়ে দাঁড়ায় ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ, আগামী মাসে থেকেই এই টাকা পাবেন সরকারি কর্মীরা।