কর্মজীবনে আমরা সকলেই রোজগার করি। কেউ সরকারি চাকরি করে রোজগার করি, আবার কেউ ব্যবসা বা বেসরকারি চাকরি করি। আর কষ্টার্জিত সেই রোজগারের টাকা সঞ্চয় করতে সকলেই চায়। হাতখরচ বা সংসার খরচ থেকে কিছুটা টাকা সরিয়ে তা পরবর্তীতে দরকারের সময় এই টাকাই বেরোয়। টিসি তজগারের পাশাপাশি সঞ্চয় কিন্তু জীবনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এখন বিশেষজ্ঞরা সব স্তরের মানুষদেই সঞ্চয়ের বিষয়ে অবগত করছেন।
উল্লেখ্য, রোজগারকৃত টাকা বাড়িতে ফেলে রাখলে তা কিন্তু সুদে বাড়বে না। বরং সেইসব টাকা কোনো স্কিম বা প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে তা লাভজনক হতে পারে। আর এক্ষেত্রে মিউচ্যুয়াল ফান্ড একটি দারুন বিকল্প হতে পারে। এই প্রতিবেদনে এমনই ১০ টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো, যার মাধ্যমে একজন চাকুরিজীবী তার কর্মজীবন চালিয়েও কোটি টাকা সঞ্চয় করতে পারবেন।
● কোয়ান্ট স্মল ক্যাপ ফান্ড: গত তিন বছরে এই মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১৯৬ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের।
● কোয়ান্ট মিড ক্যাপ ফান্ড: এই মিড ক্যাপ ফান্ড থেকে তিন বছরে ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া গেছে।
● কোয়ান্ট ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড: এই স্কিম থেকে তিন বছরে ১৪৪ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
● কোয়ান্ট ইএলএসএস ট্যাক্স সেভার ফান্ড: বিগত ৩ বছরে ১৩৪ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে কোয়ান্ট ইএলএসএস ট্যাক্স সেভার ফান্ড।
● কোয়ান্ট লার্জ অ্যান্ড মিড ক্যাপ ফান্ড: এই ফান্ড থেকে ১২৫ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
● নিপ্পন ইন্ডিয়া স্মল ক্যাপ ফান্ড: এই ফান্ড থেকে তিন বছরে ১৪৩ শতাংশ রিটার্ন মিলেছে।
● এইচএসবিসি স্মল ক্যাপ ফান্ড: এই ফান্ড থেকে গত ৩ বছরে ১৩৮ শতাংশ রিটার্ন মিলেছে।
● এইচডিএফসি স্মল ক্যাপ ফান্ড: এইচডিএফসি স্মল ক্যাপ ফান্ডে ৩ বছরে রিটার্নের পরিমাণ ১২৭ শতাংশ।
● মতিলাল অসওয়াল মিডক্যাপ ফান্ড: বিগত তিন বছরে ১৩২ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে মতিলাল অসওয়াল মিডক্যাপ ফান্ড।
● ফ্র্যাঙ্কলিন ইন্ডিয়া স্মলার সিওএস ফান্ড: এই স্মল ক্যাপ তিন বছরে ১২২ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে।