দিন প্রতিদিন মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বিগত পাঁচ বছর আগের থেকে এখন মানুষের জীবনধারা অনেক বেশি বদলে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সাংসারিক খরচও। বলা বাহুল্য, এখন একটি ‘মাইক্রো-ফ্যামিলি’তেও একজনের উপার্জনে সংসার চলে না। তাই পরিবারের একজন চাকরি করলেও তিনি আবার অন্য উপার্জনের পথ খুঁজতে থাকেন। আর এই কারণেই বাড়ির মধ্যে বসেই ছোটখাটো ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন অনেকেই। অনেকে যদিও এই ধরণের ব্যবসা শুরুও করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে।
কিন্তু ব্যবসা শুরুর কথা ভাবা আর ব্যবসা শুরু করার মধ্যে একটা বিস্তর ফারাক রয়েছে। কারণ একটি ব্যবসা শুরু করতে গেলে অনেকগুলি বিষয় আগে থেকে ভেবে রাখতে হয়। ব্যবসা শুরু করতে গেলে মূলধন থেকে কাঁচামালের যোগান এমনকি দ্রব্যের বিক্রয়স্থল খুঁজতে হিমসিম খেয়ে যান অনেকেই। তবে এই প্রতিবেদনে আপনার জন্য এমন একটি ব্যবসার সন্ধান রয়েছে যা আপনি মাত্র কয়েক হাজার টাকা থেকেই শুরু করতে পারবেন। উপরন্তু ব্যবসাজাত দ্রব্যের চাহিদাও থাকবে বছরের সবকটা দিন।
আমরা কথা বলছি পুরানো মালের ব্যবসা সম্পর্কে। বিদেশে এই ব্যবসা খুবই জনপ্রিয়। কারণ জিনিস নতুন, সেকেন্ড হ্যান্ড এবং স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি হয়। কিন্তু যেসব প্রোডাক্ট তৈরির কাজ কোম্পানি বন্ধ করে দেয়, সেগুলির ব্যবসা করলে বেশ লাভ করতে পারবেন। এটিকে বলা হয় ফ্লি মার্কেট বিজনেস। এই ব্যবসায় আপনি বিক্রি করতে পারবেন পুরানো মডেলের গাড়ির পার্টস, পুরানো ইলেকট্রিক যন্ত্রের পার্টস, বাড়ির নানা পুরানো জিনিসের খুচরো অংশ ইত্যাদি। এই ব্যবসার মাধ্যমে কয়েকগুণ লাভ করার সুযোগ থাকছে আপনার হাতে।
এই ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমেই আপনাকে পুরানো জিনিসের স্টক বাড়াতে হবে। এর জন্য বিভিন্ন গ্যারেজ, মেকানিক শপ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কম দামে পুরানো জিনিস কিনতে হবে। এবার সেগুলিকে আলাদা করতে হবে। এবার মার্কেটিংয়ের কাজ করতে হবে। বিজ্ঞাপন বা সামাজিক মাধ্যমে এই কাজটি করতে পারবেন। এবার এই ব্যবসা থেকে লাভের হিসেবটা বুঝে নিন। যেকোনো পুরানো জিনিস আপনি কম দামে কিনতে পারবেন। কিন্তু সেই প্রোডাক্ট বাজারে না পাওয়া গেলে সেটিকে আপনি ইচ্ছেমতো দামে বিক্রি করতে পারবেন। কারণ এক্ষেত্রে ক্রেতা এমন হয় যার জিনিসটি আবশ্যিকভাবে দরকার। তাই সেক্ষেত্রে দরদাম কম হবে এবং রোজগার হবে বেশি।