আর মাসখানেক পরেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে ভক্তের আগে দেশবাসীর মকনে জয় করে নিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার। কারণ টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার টার্গেট রেখেছে বিজেপি। আর সেই হ্যাট্রিকের লক্ষ্যে এবার মোদি সরকারের প্রধান হাতিয়ার হতে পারে অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় বাজেট। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, বৃহস্পতিবার লোকসভায় বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। আর এই বাজেটে একাধিক জনমুখী ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কারণ, ভোটের আগে দেশের সিংহভাগ মানুষের জন্য ভালো কিছু ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
কিন্তু আগামী অর্থবর্ষের বাজেটে ঠিক কি ঘোষণা হতে পারে? এই বাজেটে কি লাভবান হবেন কর্পোরেট কর্মীরা? নাকি এই বাজেটে দেশের বেকারদের নিয়োগ নিয়ে নিয়ে হতে পারে কোনো বড় ঘোষণা? নাকি এই বাজেটে দেশের কৃষকদের জন্য আকর্ষণীয় কিছু ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী? এই বাজেটে কি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা লাভবান হবেন? এখন এইসব প্রশ্নে মশগুল গোটা দেশ। তবে এই বাজেট নিয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই মর্মে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ‘দিশা নির্দেশক বক্তব্য’ –এর সঙ্গে বাজেট পেশ করবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দেশ প্রতিনিয়ত উন্নতির একাধিক নতুন মাইলফলক অতিক্রম করছে। আমরা উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সর্বাত্মক এবং স্থিতিশীল উন্নয়ন হচ্ছে। জনগনের আশীর্বাদে এই যাত্রা অব্যাহত থাকবে।”
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বাজেটে দেশের কৃষকদের জন্য আকর্ষণীয় কিছু ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। অনেকেই মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার ক্ষেত্রে কিছু রদবদল করা হতে পারে। অনেকের আশা, এই যোজনায় যেখানে বর্তমানে চাষীরা বার্ষিক ৬ হাজার টাকা পান, সেখানে এই টাকা বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা করা হতে পারে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য বিমা যোজনা আয়ুষ্মান ভারতেও বিমার অঙ্ক ৫ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করা হতে পারে। এছাড়াও বাড়ানো হতে পারে একশো দিনের কাজের জন্য বরাদ্দ টাকার পরিমাণ।
এছাড়াও এবারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে আয়করের ক্ষেত্রে ছাড়ের পরিমান বাড়ানো হতে পারে। জানা গেছে, আয়কর জমা দেওয়ার যে সর্বনিম্ন সীমা ছিল ২.৫ লক্ষ টাকা, তা বাড়িয়ে করা হতে পারে ৫ লক্ষ টাকা। এছাড়াও এই বাজেটে দেশের বেকারত্ব সমস্যার সমাধানের দিশা দেখাতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তবে এই বাজেট যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন, তাই এই বাজেটে বিশেষ কিছু ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা কম। সেই কারণেই আগামী জুলাইয়ের পূর্ণাঙ্গ বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকবেন দেশবাসী।