সঞ্চয়ের প্রসঙ্গ এলেই অধিকাংশ মানুষের মনে দানা বাঁধে ভয়। কারণ দেশজুড়ে ‘চিট ফান্ড কাণ্ডের’ রমরমা ছিল কয়েকবছর আগে অবধি। এমন অবস্থায় কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে শেয়ার বাজারের দিকে পা বাড়ালেও বেশিরভাগ মানুষই এখনো ভরসা করেন নির্ভরযোগ্য সরকারি বিনিয়োগ সংস্থাগুলির উপর। আর সেক্ষেত্রে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে পোস্ট অফিসের জনপ্রিয়তা। পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ অনেকেই পছন্দ করেন। কারণ পোস্ট অফিস যেমন নির্ভরযোগ্যতা প্রদান করে, তেমনই সেখানে নিশ্চিত ভালো রিটার্নের সুবিধাও রয়েছে বেশ কিছু স্কিমে। এই প্রতিবেদনে আলোচনা হবে এমনই একটি স্কিমকে নিয়ে, যা একদিকে সুরক্ষিত, অন্যদিকে লাভজনক।
পোস্ট অফিসের বিনিয়োগের এই ব্যবস্থাটি হল কিষান বিকাশ পত্র বা KVP। এই স্কিমে আপনি আপনার ইচ্ছে ও সামর্থমতো টাকা জমা করতে পারবেন। আর তার জন্য আপনাকে যে সুদ দেওয়া হবে, সেই পরিমান সুদ হয়তো আপনাকে কোনো ব্যাঙ্ক দেবে না। তবে নিয়মিত যাওয়া জমা দেওয়া এই ব্যবস্থার একটি বিশেষ দিক রয়েছে। তাই একনজরে দেখে নিন টাকা জমানো ও ভালো রিটার্ন পাওয়ার এই দারুন ব্যাবস্থাটির বিস্তারিত।
এই স্কিমটির নাম শুনে নিশ্চয়ই ভাবছেন এটি কৃষকদের জন্য। তবে কৃষক সহ যে কেউ এই স্কিমের শংসাপত্র নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এই স্কিমে সর্বনিম্ন বিনিয়োগের পরিমান হবে ১০০০ টাকা। তবে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনো উর্ধসীমা নেই এই স্কিমের। কিন্তু আপনি যদি ৫০ হাজার টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার প্যান কার্ডের বিস্তারিত প্রদান করতে হবে। এবার আসি স্কিমের সুদের বিষয়ে। এই স্কিম থেকে আপনি ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ পেয়ে যাবেন। তবে এই সুদ আপনার ত্রৈমাসিক চক্রবৃদ্ধি হারে জমা হবে।
স্কিমটি মূলত ১২৪ মাসের হয়ে থাকে। তবে তারপর আপনি চাইলে এই স্কিম চালু রাখতে পারেন। কিন্তু এই বিষয়ে একটি জিনিস মাথায় রাখা জরুরি- স্কিম শুরুর ১ বছরের মধ্যে আপনি যদি স্কিমটি তুলে নিতে চান, তাহলে কিন্তু আপনি কোনরূপ লভ্যাংশ পাবেন না। এই স্কিমটি নেওয়ার জন্য আপনার নিকটবর্তী যেকোনো পোস্ট অফিসে যেতে হবে। সেখানেই আপনাকে পরবর্তী পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।