প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Business Idea: বাড়ির রান্নাঘরে শুরু করুন এই ব্যবসা, টাকার বৃষ্টি হবে দিনে রাতে

করোনাকালীন সময়ের পর থেকেই চাকরির আকাল দেখা গেছে বিশ্বজুড়ে। অর্থনৈতিক অবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ায় বেকারত্বের পরিমান বাড়ছে দিনের পর দিন। ছবিটা একইরকম রয়েছে আমাদের দেশেও। তাই এই অবস্থায় অনেকেই চাকরি…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

করোনাকালীন সময়ের পর থেকেই চাকরির আকাল দেখা গেছে বিশ্বজুড়ে। অর্থনৈতিক অবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ায় বেকারত্বের পরিমান বাড়ছে দিনের পর দিন। ছবিটা একইরকম রয়েছে আমাদের দেশেও। তাই এই অবস্থায় অনেকেই চাকরি পাওয়ার আশা ছেড়ে মন দিচ্ছেন ব্যবসায়। বিগত কয়েকবছরে ভারতে ‘স্টার্ট-আপ’ সংস্থার সংখ্যাটা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। তবে অনেকেই শুরু হওয়া ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন, অনেকেই আবার মাঝপথে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।

তবে এই প্রতিবেদনে এমন একটি ব্যবসার কথা বলবো, যা একবার শুরু করলে আর বন্ধ করতে হবেনা সহজ কোনো কারণে। আর এই ব্যবসাটি হল বিভিন্ন ধরণের আচারের ব্যবসা। আচার হল বাংলা সহ গোটা ভারতের একটি জনপ্রিয় স্ন্যাক্স। প্রাচীনকাল থেকেই এই খাবারের ব্যবহার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই হয়ে থাকে। এছাড়াও যেকোনো খাবারের শেষ পাতে স্থান পায় আচার। এছাড়াও অনেকেই শুধু মুখে আচার খেতে পছন্দ করেন। তবে আজকাল আচার বানানোর কৌশল অনেকেই জানেন না। তাই বাজার থেকে আচার কিনে নেন আচারের কৌটো।

সেই কারণেই আচারের ব্যবসা করলে এর ক্ষেত্রে দারুন লাভ করা যায়।এবার আসা যাক কিভাবে করবেন এই ব্যবসা, সেই বিষয়ে। এই ব্যবসা বাড়ি থেকেই শুরু করে যায়। বাড়ির রান্নাঘর কিংবা ছাদ বা উঠোনেই এই ব্যবসা মাঝারি আকারে শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসা করতে গেলে খুবই সাধারণ কিছু কাঁচামাল লাগবে। তবে যেহেতু একটি খাবারের ব্যবসা, তাই এই ব্যবসা শুরুর আগেই খাদ্য দফতর থেকে অনুমতি এবং ফুড লাইসেন্স জোগাড় ককরে রাখতে হবে। এবার এটিকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করাতে চাইলে সেক্ষেত্রে আরো অনেক নথিকরণ প্রয়োজন পড়বে।

এই ব্যবসা থেকে লাভ করা যায় ব্যাপকভাবে। তবে সেক্ষেত্রে ব্য সটি সঠিক উপায়ে করতে হবে। নাহলে কিন্তু লাভের গুড় পিঁপড়েতেই খেয়ে নেবে। তাই শুরুতেই প্রোডাক্ট প্যাকেজিংয়ের দিকে ভালোভাবে নজর দিতে হবে। এয়ার টাইট প্যাকেট না করলে বাতাসের আর্দ্রতা ঢুকে খাবার নষ্ট হতে পারে। এছাড়াও বেশিদিন এই খাবার রাখা যায়না। তাই তৈরি ও বিক্রির অনুপাতটা কম রাখাটাই ভালো। আর এমনটা করতে পারলে ভালোরকম রোজগার করা যাবে। ছোট পরিসরে এই ব্যবসা করলেই মাসে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা রোজগার করতে পারবেন।