কিছু সরকারি ও কিছু বেসরকারি কর্মীদের অবসর জীবনের জন্য চালু রয়েছে পেনশন ব্যবস্থা। কিন্তু যারা চাকরি করেন না, তাদের অবসর জীবন কিভাবে চলবে? এর জন্য চালু রয়েছে NPS বা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। ২০০৯ সাল থেকে এই স্কিমটি সমস্ত শ্রেণীর মানুষের জন্য চালু করা হয়েছিল। এই পেনশন স্কিমের অধীনে, বিনিয়োগকারীরা ৬০ বছর বয়সের পর মোট জমার পরিমাণের ৬০% তুলতে পারেন এবং অবশিষ্ট ৪০% অর্থ পেনশন স্কিমে যায়। এছাড়াও বিনিয়োগকৃত অর্থের ওপরও কর ছাড় দেওয়া হয় এই স্কিমে। বলা যায়, এই স্কিমের সাহায্যে, একজন ব্যক্তি প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা অবধি পেনশন পেতে পারেন। তবে এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা।
নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য NPS সেরা বিনিয়োগের বিকল্প হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে নাগরিকরা চাকরির সময়ই বিনিয়োগ করতে পারবেন। ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সী যে কেউ এই স্কিমের সুবিধা পেতে পারেন। বর্তমানে ৬০% ইক্যুইটি এবং ৪০% ঋণে বিনিয়োগ করলে প্রায় ১০% রিটার্ন পাওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতে, যদি কোনও ব্যক্তি ৩০ বছরের জন্য প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন, তবে তিনি অবসর গ্রহণের পরে পেনশন হিসাবে ১ লক্ষ টাকা পাবেন।
তবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ থেকে এই ন্যাশনাল পেনশনের সিস্টেমের বেশ কিছু ন্যম বদলে যাচ্ছে। এবার থেকে যাদের এই বিশেষ ধরনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তারা সেই অ্যাকাউন্টের ২৫ শতাংশের বেশি টাকা তুলতে পারবেন না এটি ম্যাচিওর হওয়ার আগে। তবে এই ২৫ শতাংশ টাকাও তোলা যাবে না যদি বিনিয়োগকারী ব্যক্তি বা মহিলা ৩ বছরের কম সময় এই নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করছেন। আর এই শর্ত পূরণ হলেও সেক্ষেত্রে মাত্র ৩ বারের জন্য এই টাকা তুলতে পারবেন গ্রাহক।
তবে সব ক্ষেত্রে এই পেনশনের টাকা তোলা যায়না মাঝে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রেই এমনটা সম্ভব। এক্ষেত্রে জেনে রাখা জরুরি যে কোন কোন ক্ষেত্রে এই টাকা আপদকালীনভাবে তোলা যাবে। প্রথমত, বিনিয়োগকারী তার সন্তানদের পড়াশুনার জন্য এই টাকা তুলতে পারবেন। এছাড়াও ছেলে বা মেয়ের বিয়ের আগেও এই টাকা তোলা যাবে। পাশাপাশি, নিজের শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রেও এমনটা সম্ভব। ঘরবাড়ি কিনলে বা তৈরি করলেও এই ২৫ শতাংশ টাকা তোলা যাবে। তবে সব ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট নথি প্রমান হিসেবে দেখিয়ে টাকা তোলা যাবে।