আজকালকার দিনে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ অর্থাৎ অ-পুনঃণবিকরণযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবসায় যুক্ত আছেন অনেকেই। তবে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে এই ধরণের প্লাস্টিকের ব্যবহারে লাগাম টানতে সক্রিয় হয়েছে ভারত সরকার। বর্তমানে দেশে কম মাইক্রোনের প্লাস্টিক ব্যবহারে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এমন অবস্থায় ব্যবহারের জন্য রয়েছে বেশি মাইক্রোনের প্লাস্টিক, কাগজ ও মাটি। বেশি মাইক্রোনের প্লাস্টিক তৈরি একটি ব্যয়বহুল ব্যবসা। কাগজের কাপ, প্লেট, গ্লাস তৈরির খরচও রয়েছে। কিন্তু মাটির নানা জিনিস অতি সহজে এবং কম খরচে বানিয়ে ফেলা যায়। তাই আগামীতে মাটির তৈরি জিনিসের ব্যবসা লাভজনক হতে পারে।
বর্তমানে মাটির তৈরি জিনিসের ব্যবহার বাড়ছে দেশে। এখন চা খেতে অনেকেই মাটির ভাঁড়কে বেছে নেন। এখনকার দিনে স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড, বাজার এমনকি বিমানবন্দরেও মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের মধ্যে। এছাড়াও মাটির তৈরি প্লেট, বাটি ও গ্লাসের চাহিদাও বাড়ছে দেশে। তাই মাটির নানা সামগ্রী তৈরি একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে আগামীতে। এর জন্য কাঁচামাল হিসেবে নদী পা পুকুর পাড়ের মাটি দরকার কাঁচামাল হিসেবে। এছাড়াও ছাঁচ কিনতে হবে বাজার থেকে। সঙ্গে লাগবে একটি চাকতি। যার বর্তমান বাজারদর পাঁচ হাজার টাকার বেশি নয়।
এবার দেখে নেওয়া যাক যে, আপনি সম্ভবত কতটা উপার্জন করতে পারবেন এই ব্যবসা থেকে। যদি প্রতিদিন ৫০০ পিস চায়ের ভাঁড় এবং ৫০০ টি লস্যির গ্লাস বিক্রি করতে পব্রেন, তাহলে আপনার দৈনিক ১০০০ টাকা আয় হতে পারে। এছাড়াও, আপনি যদি উচ্চ চাহিদা সহ একটি রেস্তোরাঁ বা চায়ের দোকানের সাথে সহযোগিতা করতে সক্ষম হন, তাহলে আপনার দৈনিক আয় ৫ হাজার টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার মাসিক রোজগার লক্ষ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২০ সালে, কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ হাজারটি বৈদ্যুতিক মৃৎপাত্রের চাকা, যেগুলি বৈদ্যুতিক হয়জ সেগুলি বিতরণ করেছে। এই বিষয়ে খাদি গ্রাম শিল্প কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিনয় কুমার সাক্সেনা ঘোষণা ককরেছিলেন। মৃৎশিল্পের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি প্রান্তিক কুমোর সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এই যোজনা চালু করেছিল। এই যোজনার ভিত্তিতেই মৃৎশিল্পীরও এই সুবিধা লাভ করতে পারবেন।