কর্মজীবনে আমরা সকলেই রোজগার করি। কেউ সরকারি চাকরি করে রোজগার করি, আবার কেউ ব্যবসা বা বেসরকারি চাকরি করি। আর কষ্টার্জিত সেই রোজগারের টাকা সঞ্চয় করতে সকলেই চায়। কিন্তু এই সঞ্চয়ের দিকে পুরুষদের থেকে একধাপ এগিয়ে থাকে মহিলারা। কারণ রোজগার না করেও হাজার হাজার টাকা জমিয়ে ফেলার দক্ষতা দেখাতে পারেন একমাত্র মহিলারাই। হাতখরচ বা সংসার খরচ থেকে কিছুটা টাকা সরিয়ে তা পরবর্তীতে দরকারের সময় কিন্তু তাদের হাত থেকেই বেরোয়।
তবে সেইসব টাকা বাড়িতে ফেলে রাখলে তা কিন্তু সুদে বাড়বে না। বরং সেইসব টাকা কোনো স্কিম বা প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে তা লাভজনক হতে পারে। কারণ সেখানে টাকার সুরক্ষা পাওয়া যায়। আর তার সাথে যদি পাওয়া যায় জীবনবিমা, সঙ্গে ভালো হারে রিটার্ণের অঙ্ক, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। এই প্রতিবেদনে এমনই কয়েকটি বিনিয়োগের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো, যা মহিলাদের টাকা জমানোর ক্ষেত্রে ভীষণভাবে উপযোগী হতে পারে।
● রেকারিং ডিপোজিট: স্বল্প বিনিয়োগে দীর্ঘমেয়াদি ভালো রিটার্ন পাওয়ার জন্য রেকারিং ডিপোজিট একটি লাভজনক বিকল্প হতে পারে। এই স্কিমে মাত্র ১০০ টাকা থেকে বিনিয়োগ করা যায়। পোস্ট অফিস বা কোনো ব্যাঙ্কে রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিটে সুদের হার ৬.৫ শতাংশ। স্টেট ব্যাঙ্কে এই সুদের হার ৭.০ শতাংশ।
● মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট: পোস্ট অফিসের এই স্কিম মহিলাদের জন্য সর্বাধিক লাভজনক বলে ব্যাখ্যা করেন বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা। এই স্কিমে মাত্র ১ হাজার টাকা থেকে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ করা যায় এতে। এই স্কিমে সুদের হার ৭.৫ শতাংশ।
● মিউচ্যুয়াল ফান্ড: শেয়ার বাজার সম্পর্কিত মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ভালো হারে রিটার্ন পেতে পারেন যে কেউ। তবে এক্ষেত্রে বাজার সম্পর্কিত ঝুঁকি থেকেই যায়। কিমতু এক্ষেত্রে রিটার্ন ১৫ শতাংশের উপরেও চলে যেতে পারে। টুই বেশ কয়েকবছরের বিনিয়োগে এখান থেকে লাখ লাখ টাকার রিটার্ন পাওয়া সম্ভব।