বর্তমানে রাজ্যে ৫০ টির বেশি জনমুখী প্রকল্প চালু রয়েছে। রূপশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী, কৃষকবন্ধু সহ অনেক প্রকল্প চালু রয়েছে রাজ্যে। এছাড়াও রাজ্যের আর সব প্রকল্পের মধ্যে কন্যাশ্রী হল একটি সর্বজনবিদিত প্রকল্প। তবে এসবের পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বর্তমান সময়ে বাংলার বুকে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বর্তমানে এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় সিংহভাগ মহিলাদের মাসিক ভাতা দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। সাধারণ মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা মাসিক ১০০০ টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
এই বিষয়টি দেখে একটি বিষয় স্পষ্ট যে নারী বন্দনার মন্ত্রেই কিন্তু লাগাতার তিনবার ক্ষমতায় বাংলায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর এবার এই ভাবনাতেই দিল্লির লড়াইয়ে বাজিমাত করতে মরিয়া মোদি সরকারও। সেই কারণেই ২০২৪ সালের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ হওয়ার আগে নারিশক্তির উত্থান ও নারী বন্দনার বিষয়ে বলতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি ও দেশের অর্থমন্ত্রীর উদাহরণ দিয়ে এই বাজেটে নারীদের জন্য একাধিক ঘোষণা করার আভাষ দিয়ে দেন। আর সেই ইঙ্গিতকে বাস্তবে পরিণত করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
বৃহস্পতিবার, সংসদে ২০২৪ সালের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। আর এই বাজেটে মহিলাদের জন্য একটি বিশেষ ঘোষণা হয়। এদিনের বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা ঘোষণা করেন, “গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়নের প্রকল্প ‘লাখপতি দিদি’কে আরও প্রসারিত করার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র।” ওইদিন বাজেট ঘোষণায় নির্মলা আরো জানিয়েছেন, “এতদিন ‘লাখপতি দিদি’ প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি মহিলার অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন। সেই মাত্রা আগামী দিনে বাড়িয়ে ৩ কোটি করা হচ্ছে।” অর্থাৎ এবার থেকে দেশের আরো অনেক মহিলা এই সরকারি সুবিধার আওতায় আসবেন।
কিন্তু কি এই প্রকল্প? এর মাধ্যমে নারীদের উন্নয়ন কিভাবে করা হয়? ২০২৩ সালের ১৫ ই আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিনে দিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর নিজের ভাষণে এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ করে মহিলাদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে নানা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। একইসঙ্গে মহিলাদের নতুন কোনো উদ্যোগকে প্রসারিত করতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়। কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল এটাই যে এর মাধ্যমে আর্থিকভাবে সাবলীল করে তোলা হবে মহিলাদের। আর এবার এই সুবিধা আরো বেশি সংখ্যক মহিলা পেতে চলেছেন।