বৃহস্পতিবার সংসদে কেন্দ্রীয় অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। যেহেতু এই বছর রয়েছে লোকসভা নির্বাচন, তাই এবছর ফেব্রুয়ারির পয়লা দিনে পেশ হয়নি পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তার জায়গায় এবার অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট বা ভোট অন একাউন্ট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।আর এই বাজেট পেশের আগে অনেকেই মনে করেছিলেন যে এই বাজেটে কেন্দ্র আয়করের ক্ষেত্রে ট্যাক্স স্ল্যাবগুলির ক্ষেত্রে কিছু বদল আনতে চলেছে তা অনেকেই অনুমান করেছিলেন। তবে বাজেট ঘোষণায় তেমন কোনো কথা বলেন নি অর্থমন্ত্রী। বরং সমস্ত ট্যাক্স স্ল্যাবগুলিকে অপরিবর্তিত রেখেছেন তিনি।
আর এই নিয়ে দেশজুড়ে চলছে জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন মধ্যবিত্তদের জন্য এই আয়কর ব্যবস্থার পরিবর্তন না এনে মধ্যবিত্তদের সমস্যার সমাধান করল না মোদি সরকার। এই ককেরণে অনেকেই এই অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটকে জনমুখী বাজেট বলে গণ্য করতে চাইছেন না। তবে এবার এই বিতর্কের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কেন আয়কর ব্যবস্থায় পরিবর্তন হল না, তা এবার তিনি জানিয়ে দিলেন। বাজেট পেশের পর এর কারণ হিসেবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “ভোটের বছর বলেই এ বিষয়ে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলাম না।”
উল্লেখ্য, এখন নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থায় কোনো করদাতা যদি ৩-৬ লক্ষ টাকার রোজগার করেন, তাহলে তার রোজগারের উপর ৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। যদিও আয়কর আইন, ১৯৬১-র অধীনে 87(A) ধারায় কর ছাড় পাওয়া যায়। এছাড়াও কোনো করদাতার ৬-৯ লক্ষ টাকার রোজগারের উপর ১০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। আয়কর আইনের 87(A) ধারায় এক্ষেত্রেও কর ছাড় পাওয়া যায়। পাশাপাশি, ৯-১২ লক্ষ টাকার রোজগারের উপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে। ১২-১৫ লক্ষ টাকার রোজগারের উপর ২০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে এবং ১৫ লক্ষ টাকার বেশি রোজগারের উপর ৩০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে।
এদিকে যদি আমরা পুরানো পুরানো ট্যাক্স ব্যবস্থার দিকে নজর দিই তাহলে সেক্ষেত্রে ২.৫ লক্ষ টাকা অবধি বার্ষিক রোজগারে কোনো আয়কর দিতে হয়না। কিন্তু ২.৫ থেকে ৫ লক্ষ টাকার রোজগারের উপর ৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। একইভাবে ৫-১০ লক্ষ টাকার রোজগারের উপর ২০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয় এবং ১০ লক্ষ টাকার বেশি রোজগারে ৩০ শতাংশ আয়কর জমা দিতে হয়। আর এই অর্থবর্ষেও এই আয়করের স্ল্যাবগুলি বজায় থাকছে।