প্রতিটি উপার্জনকারী ভারতীয় নাগরিকের জন্য আয়কর রিটার্ন ফাইল করা বাধ্যতামূলক। আয়কর রিটার্ন হল একটি নির্ধারিত ফর্ম যার মাধ্যমে একটি আর্থিক বছরে এক জন ব্যক্তি তাঁর অর্জিত আয়ের বিবরণ জমা দিতে পারেন। এই ধরনের আয়ের উপর প্রদত্ত করের তথ্য আয়কর বিভাগে জানানো হয়। পরবর্তীকালে এটি আয়কর বিভাগ থেকে ‘লস ক্যারি-ফরওয়ার্ড’ এবং ‘রিফান্ড ক্লেম’ করার অনুমতি দেয়। ভারতে বিভিন্ন ধরণের আয়করের মধ্যে TDS হল অন্যতম। এই বিশেষ করে নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
ট্যাক্স ডিডাক্টেড অ্যাট সোর্স বা TDS হল আপনার আয় থেকে যে ট্যাক্স কাটা হয়। অনেক করদাতা বেতন বা বিনিয়োগ আয়ের টিডিএস দ্বারা সমস্যায় পড়েছেন। এটি এড়াতে, আপনি আয়কর বিভাগ থেকে ফেরতের জন্য ফর্মটি পূরণ করতে পারেন। এটি ছাড়াও, আরও অনেক ব্যবস্থা রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি কর কর্তন এড়াতে পারেন। একটি সীমার পরে নির্দিষ্ট উৎস থেকে আয়ের উপর কর কাটা হয়, যাকে বলা হয় থ্রেশহোল্ড সীমা। TDS নির্ভর করে করদাতা কোন বন্ধনীর মধ্যে পড়েন। এর বাইরে TDS বিভিন্ন ধরনের আয়ের উপরও আলাদা।
সম্প্রতি, এই টিডিএস-এর বিষয়ে একটি বড়সড় আপডেট এসেছে। কারণ টিডিএস কেটে নেওয়ার পরেও যারা এখন আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন নি, তারা এবার সমস্যায় পড়তে চলেছেন। কারণ, তাদের এবার থেকে নোটিস পাঠাতে চলেছে আয়কর দফতর। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের চেয়ারম্যান নীতিন গুপ্তা এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, টিডিএস কাটা পরেও আয়কর রিটার্ন জমা করেননি এমন প্রায় দেড় কোটি করদাতা রয়েছেন। আর যে সমস্ত করদাতা এমনটি করেছেন, তাদের নোটিশ পাঠাচ্ছে আয়কর দফতর। ইতিমধ্যে সেই সংখ্যাটাও ছাড়িয়েছে হাজার হাজার।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবর্ষ ওরে শেষের মুখে। আর কয়েকমাস পরেই শুরু হচ্ছে নতুন অর্থবর্ষ। সেই কারণে আয়কর রিটার্নের সময় শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে, আয়কর দফতর গত বছর জমা পড়া আয়কর রিটার্নের হিসেব শুরু করেছে আয়কর দফতর। তার মধ্যে যেসব রিটার্ন-এর ক্ষেত্রে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে, তাদের সেগুলিকে আপডেট করার নির্দেশ দিয়েছে আয়কর দফতর। জানা গেছে, ইতিম৫১ লক্ষ রিটার্ন আপডেট করা হয়েছে। আর সেগুলি থেকে আয়কর দফতরের ৪৬০০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।