নিজের রোজগারের টাকা সঞ্চয় করতে কেই না চায়। আর তার সাথে যদি পাওয়া যায় জীবনবিমা, সঙ্গে ভালো হারে রিটার্ণের অঙ্ক, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু বর্তমানে আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থার উপর তেমন ভরসা করেন না নাগরিকরা। কারণ অবশ্য একটাই, ভুঁইফোড় সব চিটফান্ড। তবে এবার সেসব ঝুঁকি ছাড়াই ভারতীয় ডাকবিভাগে রয়েছে আকর্ষণীয় একটি সঞ্চয় ও বিনিয়োগের ব্যবস্থা। আর সেটি হল পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট স্কিম। এর সুবিধা পেতে পারেন সব স্তরের মানুষজন।
বর্তমানে পোস্ট অফিসে রেকারিং ডিপোজিট হল একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ ব্যবস্থা। অল্প বিনিয়োগেও ভালো সুদ দেয় পোস্ট অফিসের এই স্কিম। এবছর আবার সোনায় সোহাগ হয়েছে পোস্ট অফিসের এই স্কিম। কারণ ২০২৩-এর প্রথম ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের জন্য পোস্ট অফিরের রেকর্যং ডিপোজিট স্কিমের সুদের হার ৩০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬.৫ শতাংশ করেছে। তবে স্টেট ব্যাংকের এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে আরো বেশি সুদ পাওয়া যায়। সেই কারণেই মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
তবে এই স্কিম উপলব্ধ রয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেও। এর মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক ও HDFC ব্যাঙ্ক হল গুরুত্বপূর্ণ। HDFC ব্যাঙ্কের রেকারিং ডিপোজিটের ক্ষেত্রে মেয়াদ অনুযায়ী পরিবর্তিত হয় সুদের হার। তবে আপনি যদি মোটামুটি দীর্ঘকালীন বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা করেন, তাহলে এটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। কারণ ৯০ মাস বা ৭ বছর ৬ মাসের জন্য আপনি যদি এই স্কিমে বিনিয়োগ করেন তাহলে সুদ বাবদ ভালো রিটার্ন পেতে পারেন। ৯০ মাসের রেকারিং ডিপোজিটে সাধারণ নাগরিকরা পেয়ে যাবেন ৭ শতাংশ হারে সুদ। সেখানে এই একই স্কিমে সিনিয়র সিটিজেনরা সুদ পাবেন ৭.৭৫ শতাংশ হারে।
এবার বাস্তবিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই সুদের হার কেমন প্রভাবিত করে, তা দেখে নেওয়া যাক। কোনো বিনিয়োগকারী যদি ৯০ মাসের জন্য HDFC ব্যাঙ্কের রেকারিং ডিপোজিটে বিনিয়োগ করেন এবং প্রতিমাসে তিনি ৯ হাজার টাকা জমা দেন, তাহলে মেয়াদ শেষে তার মত আমানত হিসেবে ৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকরা রিটার্ন পাবেন ১০,৬৫,৮৩৫ টাকা। সিনিয়র সিটিজেনরা একইভাবে বিনিয়োগ করলে ১০,৯৮,৭৭৭ টাকা পাবেন রিটার্ন অবধি।