প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Business Idea: বছরে ৪ বার ফলন, প্রতি ফলনে লাখ টাকা লাভ! এই লাভজনক চাষ করলেই বদলে যাবে ভাগ্য

গত কয়েকবছরে দেশের বেকারত্বের পরিমান বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এখন শিক্ষিত হয়েও অনেক যুবক ও যুবতী হন্যে হয়ে ঘুরছেন শুধুমাত্র একটি চাকরির জন্য। এর মাঝে চাকরি মিললেও সে অর্থে বেতন পাচ্ছেন…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

গত কয়েকবছরে দেশের বেকারত্বের পরিমান বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এখন শিক্ষিত হয়েও অনেক যুবক ও যুবতী হন্যে হয়ে ঘুরছেন শুধুমাত্র একটি চাকরির জন্য। এর মাঝে চাকরি মিললেও সে অর্থে বেতন পাচ্ছেন না অনেকেই। বলা যায়, দৈনিক সর্বনিম্ন বেতনের থেকে কম পরিমানে বেতন পেয়ে চাকরি করছেন দেশের বহু যুবক-যুবতী। তাই এখন চাকরির পাশাপাশি দ্বিতীয় কোনো রোজগারের পথ খুঁজতে উদ্যোগী হচ্ছেন কমবেশি সকলেই। আর এক্ষেত্রে ছোটখাটো ব্যবসা বা চাষাবাদ করার কথা ভাবছেন অনেকেই।

এবার ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে অনেকের মনেই অনেক ভীতি কাজ করে। তাই এই অবস্থায় বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গা থাকলে সামান্য বিনিয়োগে লাভজনক কোনো চাষ করলেই কিন্তু ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। আর এক্ষেত্রে যদি কেউ এমন কথা ভেবে থাকেন, তাদের জন্য ‘বেবি কর্ন’-এর চাষ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। এখন হোটেল থেকে রেস্তোরাঁ, বিভিন্ন খাবারের ডিশ তৈরি করতে বেবি কর্ন একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। সেটা স্যুপ হোক বা বার্গার কিংবা পিজ্জা, বেবি কর্নের ব্যবহার এখন প্রায় সবেতেই হয়ে থাকে।

এই চাষ শুরু করা যায় বাড়ির পাশে অবস্থিত কোনো ছোট্ট ফাঁকা জায়গাতে। পাশাপাশি এই ধরণের ভুট্টার চাষে বিনিয়োগ খুব কম পরিমানেই করতে হয়। প্রথমেই নার্সারি থেকে উন্নতমানের ভুট্টা গাছের বীজ কিনে আনতে হবে। এই উন্নতমানের বীজ কিন্তু খুব কম সময়েই ভালো ফলন দেয়। এই গাছ মূলত বলে মাটিতে হয়। এছাড়াও এই গাছ বেড়ে ওঠার জন্য উৎকৃষ্ট তাপমাত্রা হওয়া উচিত ৩৫ ডিগ্রি থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গাছ বের ওঠার ৪০ দিনের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়। এমনকি এক বছরে ৩ থেকে ৪ বার একই মাটিতে এই চাষ করা সম্ভব। তাই বছরের সব সময়েই লাভবান হতে থাকবেন আপনি।

এবার দেখুন যে এই ক্ষুদ্র চাষকে কেন লাভজনক বলা হচ্ছে। বছরে তিনবার ভুট্টার ভালো ফলন পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে মোটামুটি প্রতি হেক্টর জমিতে যে পরিমান বেবি কর্ন উৎপাদন হবে, তা মোটামুটি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করা যাবে। এক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকা আপনি রোজগার করতে পারবেন। এবার ওই একই জমিতে যদি বছরে চারবার চাষ করেন, তাহলে লাভ হবে চার লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের সমস্যা হলে আপনি কেন্দ্র সরকারের থেকে কৃষি ঋণ নিতেও পারেন।