বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আসছে নতুন বছর। এখন চলছে চৈত্র মাস। এই চৈত্র শেষ হলেই শুরু হবে বৈশাখ। আর নতুন বছরে অনেকেই অনেক বিষয় নতুনভাবে শুরু করেন। যেমন একদিকে নতুন বছরে নতুন জামাকাপড় কিনতে পছন্দ করেন, তেমনই আবার অনেকেই অনেক নতুন জিনিস বাড়িতে আনেন। এক্ষেত্রে কেউ কেউ জ্যোতিষ ও বাস্তু মেনেই নানা জিনিস বাড়িতে এনে থাকেন। তাই এই নতুন বছর অনেকের কাছেই অনেকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে আজকালকার দিনে সাধারণ মধ্যবিত্তদের জীবনে একটি চরম সমস্যা হল হাতে টাকা না থাকা। অনেকেই এখন টাকা রোজগার করেও মাসের শেষ অবধি পকেটে টাকা রাখতে পারেন না। আবার কেউ কেউ জরুরি সময়েও টাকা বের করতে পারেন না। এর কারণ হল ভুল আর্থিক পরিকল্পনা। তাই সঠিক আর্থিক পরিকল্পনা থাকলেই এই অর্থাভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এখন একনজরে দেখে নিন আপনার রোজগারকৃত অর্থ কিভাবে সঠিক উপায়ে খরচ করবেন।
● অর্থ সঞ্চয়ের সূত্র: আর্থিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ৫০-৩০-২০ সূত্র। এই সূত্র মেনে খরচ করলে অনেকটা অর্থ বাঁচবে। এক্ষেত্রে রোজগারের ৫০ শতাংশ অর্থ সংসার খরচে কাজে লাগান। বাকি ৩০ শতাংশ আনুষঙ্গিক খরচে কাজে লাগান। বাকি পড়ে থাকা ২০ শতাংশ মাসিক রোজগার সঞ্চয় করে নিন। এই সঞ্চয় থেকেই হবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
● বিনিয়োগ: এবার সঞ্চয়ের টাকা অনেকেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফেলে রাখেন। এর ফলে এই টাকা কোথাও না কোথাও খরচ করে ফেলি আমরা। তাই এই সঞ্চয়ের টাকা সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। এর জন্য রয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড, স্টক মার্কেট সহ নানা সরকারি পরিকল্পনা। এমনটা করলে ভবিষ্যতের পথ হবে সুগম।
● স্বাস্থ্য বীমা: এখন আমাদের নিজেদের বা পরিবারের কারো স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যায় বিপদে পড়ে থাকি। আর এখন চিকিৎসার যা খরচ, তাতে চিকিৎসা করাতেই আমাদের সঞ্চয়ের সিংহভাগ টাকাপয়সা খরচ হয়ে যায়। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্য বীমা কিনে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। মাসিক বা বার্ষিক খরচে এই স্বাস্থ্যবীমা কেনা যায়।
● লোনের ফাঁদ এড়িয়ে চলা: আজকাল আমরা অনেক জিনিস কিনতে গিয়ে লোন নিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে যেমন ফার্নিচার, মোবাইল, কম্পিউটার, এসি, ফ্রিজ কিনতে গিয়ে যেমন লোন নিই, তেমনই আবার পড়াশুনা করতে বা বাড়ি কিনতে বা গাড়ি কিনতে গিয়েও লোন নিয়ে থাকি। তবে এগুলি হল অপব্যয়। তাই এই ধরণের লোনের ফাঁদে পা দেবেন না। এতে অর্থ সঞ্চয় হবে।