বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে লক্ষ লক্ষ কর্মচারী নিযুক্ত আছেন। বিভিন্ন দফতরে তারা কর্মরত। কেন্দ্র সরকারের বেতন কমিশন সরকারের সমস্ত দফতরের কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করে। আর এই কাজটি সমসাময়িক আয় ও ব্যয়ের হিসেব করেই নির্ধারণ করেন তারা। তাই এই বেতন কমিশন প্রতি দশ বছর অন্তর বদলানো হয়েছে। এর আগে শুরু হয় সপ্তম বেতন কমিশন। এই বেতন কমিশনের আওতায় বর্তমানে বেতন পেয়ে আসছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা বেতন পেয়ে থাকেন সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে।
দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের একাধিক সংস্থা পেনশনের দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে এখন এই সপ্তম বেতন কমিশনের হিসেবেই বেতন পেতে হবে তাদের। কারণ আসন্ন সময়ে অষ্টম বেতন কমিশন চালু করার চিন্তাভাবনা কেন্দ্রের থাকলেও তা এবছর যে চালু হবেনা, তা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে চলতি বছরের শুরুতেই বেতন নিয়ে প্রথম সুখবর পেয়েছিলেন কেন্দ্র সরকারের কর্মচারীরা। সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা ৪৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়।
কিন্তু এর মাঝেই অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নের মুখে পড়ল কেন্দ্র সরকার। রাজ্যসভায় সাংসদ রামনাথ ঠাকুর এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন যে দিন প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে। এমন অবস্থায় সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি পাওয়া দরকার। কারণ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণেই খরচ বাড়ছে তাদের। এই মর্মে অষ্টম বেতন কমিশন চালুর বিষয়ে তিনি জানতে চান সরকারের কাছে। কারণ এই সময়ে যেখানে দেশজুড়ে সরকারি কর্মীদের মধ্যে বেতন নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে, সেখানে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্নটি খুবই প্রাসঙ্গিক।
তবে এই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী বলেন, ‘এরকম কোনও প্রস্তাবের বিবেচনা করছে না সরকার।’ তার সাফ কথা এটাই যে এখন অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা করছে না সরকার। এমনকি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটেও এই ধরণের বিষয়ে কোনো ঘোষণা করেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কিন্তু অনেকেই আশা করেছিলেন যে অন্তত এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় বাজেটে কোনো ঘোষণা হতে পারে।