বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই মানুষের জীবনের কর্মক্ষমতা কমে যায়। মূলত ২০ থেকে ৫০ বছর অবধি সময়ে মানুষ সঠিকভাবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। তার পর সেভাবে কাজ করার বা উপার্জন করার ক্ষমতা থাকেনা বেশিরভাগ মানুষের। এর ফলে অনেকের জীবনে অকালে নেমে আসে কিছু বিপর্যয়। আর সেইসব বিপর্যয় সামাল দেওয়ার জন্য টাকা জমিয়ে রাখতে কমবেশি সকলেই আগ্রহী হয়ে থাকেন। এই জন্যই আর্থিক পরিকল্পনা করতে হয়। আর এর সঙ্গে যেসব পরিকল্পনায় বীমার সুবিধা পাওয়া যায়, তা গ্রাহকদের কাছে বেশ গ্রহনযোগ্যতা পায়।
আর এই সঞ্চয় ও বীমা রকসাথে পাওয়ার জন্য ভারতীয় জীবনবীমা নিগম লিমিটেড বা LIC হল অত্যন্ত ভরসযোগ্য একটি সংস্থা। কারণ এখানে সুনিশ্চিত রিটার্নের পাশাপাশি পাওয়া যায় জীবনবীমার মতো সুবিধাও। তবে শুধুমাত্র এলআইসি নয়, এক্ষেত্রে আরো অনেক বীমা সংস্থার অনেক পলিসি রয়েছে। এক্ষেত্রে যেমন টাটা কোম্পানির বীমা সংস্থা রয়েছে, তেমনই রয়েছে বিড়লা কোম্পানির বীমা সংস্থা। এছাড়াও এখন বাজারে অনেক বীমা সংস্থা উপলব্ধ রয়েছে। এগুলিকে অনেকে বেছে নেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য।
আর এবার থেকে এই বীমা সংস্থার নিয়মে এক বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নতুন আইনের অধীনে এই পরিবর্তন হতে চলেছে। এর ফলে গ্রাহকরা বিরাট সুবিধা পেতে চলেছেন বলে খবর। তাই আপনার যদি কোনো সংস্থায় কোনো বীমা পলিসি থেকে থাকে তাহলে এই নিয়মটি অপবার জেনে রাখা দরকার। জানা গেছে, এবার থেকে বীমা পলিসির সব তথ্য একটি ডিজিটাল একাউন্টে রাখা হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি দেশে চালু হতে চলেছে। প্রটেকশন অফ পলিসি হোল্ডার ইন্টারেস্ট রেগুলেশন এক্ট-২০২৪-এর অধীনে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এতদিন অবধি যেকোনো সংস্থায় বীমা পলিসি কেনার পর সেই পলিসির নির্দিষ্ট কাগজপত্র, নথি ও পলিসি বন্ড পেপার গ্রাহকদের যত্ন করে রাখতে হত পলিসি ম্যাচিওর হওয়া পর্যন্ত। তবে এবার থেকে তার আর দরকার পড়বে না। কারণ এবার প্রত্যেক গ্রাহকের ডিজিটাল একাউন্টে পলিসির সব নথি আপলোড করা থাকবে। প্রয়োজনে সেগুলিকে গ্রাহকরা দেখতে পারবেন এবং জমা করতে পারবেন। শুধুমাত্র পলিসির সঙ্গে লিঙ্ক থাকব মোবাইল নম্বর দিয়ে পোর্টালে লগইন করলেই এটি দেখা যাবে।