কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ একাধিক সেক্টরে লক্ষাধিক কর্মীকে দফতর অনুযায়ী বেতনের পাশাপাশি আরো একাধিক ভাতা প্রদান করে থাকে। আর সেইসব ভাতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মহার্ঘভাতা বা DA। এত এই বছরটা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য ভালোভাবেই শুরু হতে চলেছে। কারণ নতুন বছরের শুরুতেই তার বড় সুখবর পেতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে লোকসভা ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের DA ৪৬ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হবে। টেমকনটা হলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন একলাফে অনেকটাই বাড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের অকাল পৌষমাস হলেও ডিএ নিয়ে অসন্তোষের আবহ বিদ্যমান রয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। কারণ, অনেক রাজ্য সরকার তাদের কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি করলেও দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গে তেমনটা ঘটেনি। একইসঙ্গে বকেয়া ডিএ’ও পাননি রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। আর এই কারণেই তাদের আন্দোলন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এই মর্মে একাধিক মামলা হয়েছে আদালতে। প্রথমে, হাইকোর্টে মামলা করলে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে বলা হয় রাজ্যকে। কিন্তু হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। এবার সেই মামলার শুনানির তারিখ আসন্ন।
সূত্রের খবর, আগামী মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ প্রদান মামলার শুনানি করবে দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়। আর এই মুহূর্তে সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে যে সুপ্রিম কোর্টও যদি কলকাতা হাইকোর্টের মতে সে দিয়ে রাজ্যকে বকেয়া ডিএ প্রদানের নির্দেশ দেয়, তা কি পালন করবে রাজ্য সরকার। যদিও তেমনটাই কত উচিত। এই মর্মে রাজ্যের এক মন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন যে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নেবে।
যদিও, গত বছরের শেষদিকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার এই ঘোষণায় তিনি বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই ১২৫ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিলাম। ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬৬৫ টাকা দেওয়া হয়েছে। চার বছরের মধ্যে আমরা নয়া বেতন কমিশন গঠন করেছি। নয়া পে স্কেলের আওতায় ২০১৯ সাল থেকে রাজ্য সরকার ছয় শতাংশ ডিএ দিয়েছে। সেজন্য চার বছরে ৪১৪৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।” যদিও তাতে মন ভেজেনি আন্দোলনরত কর্মীদের। তাই তারা এখন তাকিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকেই।