দেশের কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের অধীনস্থ একাধিক সেক্টরে লক্ষাধিক কর্মী নিযুক্ত আছেন। আর সরকার সেক্টর অনুযায়ী বেতনের পাশাপাশি আরো একাধিক ভাতা প্রদান করে থাকে কর্মীদের। আর সেইসব ভাতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মহার্ঘভাতা বা DA। কেন্দ্রের বেতন কমিশন অনুযায়ী এই ভাতা পরিবর্তিত হয়। আর কেন্দ্রের দেখানো এই পথেই দেশের সমস্ত রাজ্যও হাঁটে। অর্থাৎ কেন্দ্র সরকারের মতোই একইভাবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA পরিবর্তন করে দেশের রাজ্যগুলি।
সামনেই লোকসভা ভোট। দেশের গণতন্ত্রের সবথেকে বড় উৎসব এই নির্বাচন। সেই কারণেই চলতি বছরের শুরুতেই যেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য আসবে এক বড়সড় সুখবর, তা মোটামুটি নিশ্চিত। এদিকে কেন্দ্রের মতোই অন্যান্য রাজ্যের সরকারগুলি কর্মীদের মহার্ঘভাতা প্রদান করে থাকে। সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার তাদের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছে। যার ফলে খুশির জোয়ার এসেছে সেইসব রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মধ্যে। তবে ভোটের আগে কর্মীদের খুশি করার তালিকায় নাম জুড়ে নিয়েছে আরো একটি রাজ্যের সরকার। হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হয়েছে, যা রীতিমতো বসন্তের মরশুমে সুখবর।
তবে এর মাঝেই এল এক খারাপ খবর। কারণ এবার ডিএ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি তুলে নিয়েছে হিমাচল প্রদেশের রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তি জারির কয়েকদিনের মধ্যেই এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে স্থায়ী রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের বেতনক্রম সংশোধনের নিরিখে ‘এরিয়ার’ এবং ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে বকেয়া ডিএ-র টাকা দেওয়া যে ঘোষণা করেছিল রাজ্য, তো এবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। ৫ ই মার্চ পুনরওয় একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৪ মার্চের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের বিষয়ে জানানো হয় রাজ্যের অর্থ মন্ত্রকের তরফে।
উল্লেখ্য, এর আগে এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিএ পেতেন ৩৪ শতাংশ হারে। তা এবার বেড়ে হতে চলেছে ৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২৪-এর বৃদ্ধি কার্যকর হলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ পৌঁছাবে ৫০ শতাংশে। তাই কেন্দ্রের সঙ্গে এই রাজ্যে ও সরকারি কর্মীদের ডিএ-র পরিমাণের ফারাক একটা রয়েই যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এই ডিএ বৃদ্ধি কিন্তু নির্ভর করে শ্রম মন্ত্রকের দ্বারা তৈরি সূচকের ভিত্তিতে। গত ফেব্রুয়ারিতে এই সূচক বৃদ্ধি পেয়েছিল ০.১০ শতাংশ। আর এই বৃদ্ধির ধরা বজায় থাকার ককেরণে ডিএ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে সেই রাজ্যে।