কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে লাখ লাখ কর্মী চাকরি করছেন। কেন্দ্র সরকারের বেতন কমিশন সরকারের সমস্ত দফতরের কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করে। আর এই কাজটি সমসাময়িক আয় ও ব্যয়ের হিসেব করেই নির্ধারণ করেন তারা। তাই এই বেতন কমিশন প্রতি দশ বছর অন্তর বদলানো হয়েছে। এর আগে শুরু হয় সপ্তম বেতন কমিশন। এই বেতন কমিশনের আওতায় বর্তমানে বেতন পেয়ে আসছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা বেতন পেয়ে থাকেন সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে।
দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের একাধিক সংস্থা পেনশন ও ডিএ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে তাদের দাবি এখনই পূরণ হবেনা বলেই জানা গেছে। কারণ, এখন সপ্তম বেতন কমিশনের হিসেবেই বেতন পেতে হবে তাদের। কারণ আসন্ন সময়ে অষ্টম বেতন কমিশন চালু করার চিন্তাভাবনা কেন্দ্রের থাকলেও তা যে আগামী অর্থবর্ষে যে চালু হবেনা, তা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম সুখবর পেয়েছিলেন কেন্দ্র সরকারের কর্মচারীরা। সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা ৪৬ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়।
মহার্ঘ ভাতার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কর্মীদের আরও একটি ভাতা বাড়বে। আর সেটি হল বাড়ি ভাড়া ভাতা বা HRA। আর এই বৃদ্ধির পুরোটাই মহার্ঘ ভাতার সাথে সম্পর্কিত। কারণ, এর আগে ২০২১ সালে HRA সংশোধন করা হয়েছিল যখন মহার্ঘ ভাতা ২৫ শতাংশ হয়েছিল। সেই সময় HRA ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। তাই যেহেতু আশা করা হচ্ছে যে শীঘ্রই মহার্ঘভাতা ৫০ শতাংশে পৌঁছাবে, তাই অনেকেই মনে করছেন যে এটি হলে, HRA-তে আবার ৩ শতাংশ সংশোধন করা হবে।
এসব ভাতা ছাড়াও কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের আরো একাধিক ভাতা বৃদ্ধি ঘটেছে সম্প্রতি। এর মধ্যে রয়েছে চিলড্রেন্স এডুকেশন অ্যালাওয়েন্স। বিশেষ কিছু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী সন্তানদের পড়াশুনার খরচ বাবদ এই ভাতা পেয়ে থাকেন। এছাড়াও বেড়েছে চাইল্ড কেয়ার স্পেশাল অ্যালাওয়েন্স। এই ভাতা শুধুমাত্র বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাদের জন্য। তাদের এই ভাতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও রিস্ক অ্যালাওয়েন্স, নাইট ডিউটি অ্যালাওয়েন্স, ওভারটাইম অ্যালাওয়েন্সও বাড়ানো হয়েছে গত অর্থবর্ষেই।