করোনাকালীন সময়ের পর থেকেই দেশে দেখা দিয়েছে চাকরির আকাল। গত কয়েকবছরে দেশের বেকারত্বের পরিমান বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এর মাঝে চাকরি মিললেও সে অর্থে বেতন পাচ্ছেন না অনেকেই। বলা যায়, দৈনিক সর্বনিম্ন বেতনের থেকে কম পরিমানে বেতন পেয়ে চাকরি করছেন দেশের বহু যুবক-যুবতী। তাই এখন চাকরির পাশাপাশি দ্বিতীয় কোনো রোজগারের পথ খুঁজতে উদ্যোগী হচ্ছেন কমবেশি সকলেই। আর এক্ষেত্রে ছোটখাটো ব্যবসা বা চাষাবাদ করার কথা ভাবছেন অনেকেই।
এবার ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে অনেকের মনেই অনেক ভীতি কাজ করে। তাই এই অবস্থায় বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গা থাকলে সামান্য বিনিয়োগে লাভজনক কোনো চাষ করলেই কিন্তু ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। আর এক্ষেত্রে যদি কেউ এমন কথা ভেবে থাকেন, তাদের জন্য ‘রুদ্রাক্ষ’র চাষ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। এই রুদ্রাক্ষ মূলত ভগবান শিবের অন্যতম একটি দ্রব্য হিসেবে বিবেচিত হয় হিন্দু ধর্মে। সেই কারণেই হিন্দুদের ধর্মস্থানে রুদ্রাক্ষের চাহিদা থাকে ব্যাপকভাবে। এছাড়াও এই গাছের ফল ও বীজের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু ভেষজ গুনাগুন। তাই রুদ্রাক্ষের চাহিদা বছরের কোনো সময়ে কম হয়না।
এই রুদ্রাক্ষ গাছ মূলত পাওয়া যায় দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে। ইন্দোনেশিয়ার জাভা, সুমাত্রা ও বোর্নিও দ্বীপে এবং নেপালের ভোজপুর জেলায় পাওয়া যায় রুদ্রাক্ষ। ভারতের হিমালয়ের জঙ্গলে পাওয়া যায় এই গাছ। বিশেষ করে, উত্তর কাশী, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী এলাকার এই গাছ দেখা যায়। তবে এখন রুদ্রাক্ষের চাষ হচ্ছে রাজ্যের কালচিনি ও দলসিংপাড়া এলাকাতেও। মূলত ঘিয়ে রংয়ের ফুলের নীচে এই গাছের ফল জন্মায়। আর ফলের ভেতরে যে বীজ পাওয়া যায় তা থেকেই রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়, যা ব্যবহৃত হয় হিন্দুধর্মে।
আপনিও এই চাষ শুরু করে লাভবান হতে পারবেন। এই চাষ শুরু করতে হলে আপনাকে রুদ্রাক্ষের গাছ লাগাতে হবে। এই গাছ বাড়তে সময় নেই ৬ থেকে ৭ বছর। এর মধ্যেই ফুল ও ফল দেওয়া শুরু করবে গাছটি। প্রতি বছর এই গাছ থেকে ২৫ থেকে ৩০ কেজি ফল পাওয়া যাবে। এই ফল বর্তমানে বাজারে ভালো দামে বিক্রি হয়। এবার প্রতি পিস রুদ্রাক্ষ বাজারে ৩০ টাকার কাছাকাছি দামে বিক্রি করা যায়। তাই এই গাছ থেকে লাখ লাখ টাকা রোজগার করা সম্ভব প্রতি মাসে।