জীবনে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের ভেবে চলতে হয় আজ এবং আগামীকাল অর্থাৎ ভবিষ্যৎ সময়কে। তাই জীবনধারাকে প্রবাহিত রাখার জন্য যেমন রোজগার করা আবশ্যিক, তেমনভাবেই জরুরি ভবিষ্যতের জন্য কিছু সঞ্চয় করে রাখা। তবে এই সঞ্চয়ের দিকে পুরুষদের থেকে একধাপ এগিয়ে থাকে মহিলারা। কারণ রোজগার না করেও হাজার হাজার টাকা জমিয়ে ফেলার দক্ষতা দেখাতে পারেন একমাত্র মহিলারাই। হাতখরচ বা সংসার খরচ থেকে কিছুটা টাকা সরিয়ে তা পরবর্তীতে দরকারের সময় কিন্তু তাদের হাত থেকেই বেরোয়।
তবে সেইসব টাকা বাড়িতে ফেলে রাখলে তা কিন্তু সুদে বাড়বে না। বরং সেইসব টাকা কোনো স্কিম বা প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে তা লাভজনক হতে পারে। কারণ সেখানে টাকার সুরক্ষা পাওয়া যায়। আর তার সাথে যদি পাওয়া যায় ভালো হারে রিটার্ণের অঙ্ক, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। এই প্রতিবেদনে এমনই কয়েকটি বিনিয়োগের সরকারি স্কিম সম্পর্কে আলোচনা করবো, যা মহিলাদের টাকা জমানোর ক্ষেত্রে ভীষণভাবে উপযোগী হতে পারে।
● মহিলা সঞ্চয় প্রকল্প: এটিও মহিলাদের বিনিয়োগের জন্য একটি ভালো বিকল্প। কেন্দ্র সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেটে মহিলা সঞ্চয় প্রকল্পের সূচনা করে। এই প্রকল্পে মহিলারা সর্বাধিক ২ বছরে ২ লক্ষ টাকা অবধি বিনিয়োগ করতে পারবেন। এই স্কিমে ১০ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যায়।
● মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট: পোস্ট অফিসের এই স্কিম মহিলাদের জন্য সর্বাধিক লাভজনক বলে ব্যাখ্যা করেন বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা। এই স্কিমে মাত্র ১ হাজার টাকা থেকে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ করা যায় এতে। এই স্কিমে সুদের হার ৭.৫ শতাংশ।
● প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনা: দেশের গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এই স্কিমটি খুবই লাভজনক। এই স্কিমে গর্ভবতী মহিলাদের চার ভাগে মোট ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সন্তান জন্মানোর আগে প্রথম ধাপে ১০০০ টাকা দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে ২০০০ হাজার টাকা করে এবং সন্তান জন্মানোর পর ১০০০ হাজার টাকা দেওয়া হয় মায়েদের।
● সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা: কন্যা সন্তানদের জন্য এটি একটি লাভজনক সরকারি প্রকল্প। ১৫ বছরের এই স্কিমে ২৫০ টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। এই স্কিমে সুদের হার ৮.২ শতাংশ। কন্যা সন্তানদের ২১ বছর বয়স পূর্ণ হবার পরই এই সঞ্চিত অর্থ তুলতে পারবেন গ্রাহকরা।
● লাখপতি দিদি স্কিম: দেশের মহিলাদের আর্থিক অবস্থা উন্নীত করার লক্ষ্যে এই স্কিম লঞ্চ করেছে মোদি সরকার। এই স্কিমের আওতায় মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।