প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

LIC: মাত্র ১৫১ টাকা দিয়েই পাবেন ৩১ লক্ষ টাকার রিটার্ন, এলআইসির এই পলিসিতে বিরাট লাভ পাচ্ছেন গ্রাহকরা

আজকাল জীবন হয়েছে ব্যয়বহুল। কারণ আজকাল সব বিষয়ে টাকা খরচ হয় মুড়ি মুড়কির মতো। আর এই ব্যয়বহুল জীবনের মাঝে দাঁড়িয়ে এক মেয়ের বাবার কাছে মেয়ের বিয়ের খরচ জোগাড় করা অনেকাংশে…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

আজকাল জীবন হয়েছে ব্যয়বহুল। কারণ আজকাল সব বিষয়ে টাকা খরচ হয় মুড়ি মুড়কির মতো। আর এই ব্যয়বহুল জীবনের মাঝে দাঁড়িয়ে এক মেয়ের বাবার কাছে মেয়ের বিয়ের খরচ জোগাড় করা অনেকাংশে কঠিন হয়ে পড়ে। যদিও তখন মেয়েরা স্বাবলম্বী হয়ে এই বিষয়ে বাবাদের পাশে দাঁড়ায়, তাহলেও বাবাদের মনে তো চিন্তার রেশ থেকে যায়। কারণ বিয়েবাড়ির আয়োজনে আজকাল খরচ করতে হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। তাই মেয়ে বড় হলে বাবাদের চিন্তায় ঘুম উড়ে যায়।

তবে এবার এইসব চিন্তাগ্রস্ত বাবাদের সহায় হতে চলেছে LIC। ভারতীয় জীবনবীমা সংস্থার একটি আকর্ষণীয় স্কিমে প্রতিদিন অল্প অল্প টাকা জমিয়ে রাখলেই মেয়ের বিয়ের সময় একটা মোটা টাকা মিলবে রিটার্ন হিসেবে। এই স্কিমটি হল ‘এলআইসি কন্যাদান পলিসি’। কন্যাসন্তানের শিক্ষা এবং বিয়ের খরচ জোগাড় করতে আগের থেকে এই পলিসি মেয়ের বাবাদের পলিসি চালাতে হবে। তিনি ব্যতীত আর কেউ এই পলিসিতে প্রবেশের অধিকার পাননা। শুধুমাত্র বাবার মৃত্যুর পর মেয়েকে এই পলিসির নমিনি হিসেবে ধরা হয়।

আকর্ষণীয় এই পলিসির মেয়াদ ২৫ বছর। তবে বিমার সর্বনিম্ন মেয়াদ ১৩ বছর এবং সর্বোচ্চ মিউড ২৫ বছর। তবে এক্ষেত্রে মেয়ের বাবার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। এই পলিসিতে বাবার মৃত্যু হলে কোনও প্রিমিয়াম দিতে হবে না। এক্ষেত্রে বাবার দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে অবিলম্বে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় এবং অ-দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৫ ললঃ টাকা দেওয়া হয়। পাশাপাশি পলিসির ম্যাচুরিটি অবধি প্রতি বছর ৫০ হাজার টাকা রিটার্ন হিসেবে দেওয়া হয়। যা, মেয়ের পড়াশুনার কাজে লাগতে পারে।

এই পলিসিতে প্রতিদিন ৭৫ টাকা করে দিলেই মেয়ের বিয়ের সময় হাতে আসবে ১৪.৫ লক্ষ টাকা এবং প্রতিদিন ১৫১ টাকা সঞ্চয় করলে ম্যাচুরিটিতে মিলবে ৩১ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে কারো মাসিক বেতন যদি ১৫ হস্যার টাকা হয়, তিনি এই পলিসিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাকে ২২ বছর ধরে প্রিমিয়াম দিতে হবে। ২৫ বছর পর পাওয়া যাবে সম্পূর্ণ রিটার্ন। তাই একথা বলাই যায় যে মেয়ের পড়াশুনা থেকে বিয়ে, এই সবের খরচের চিন্তাভাবনা দূর হয়ে যাবে যদি মেয়ের জন্মের পরেই এই পলিসিতে বিনিয়োগ শুরু করেন তার বাবা।