ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে সমানতালে বয়ে চলে আমাদের জীবন। তাই প্রতিদিন একটু একটু করে ব্যাস বাড়ে আমাদের। কর্মজীবনের পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরেও আসে বার্ধক্যজনিত ক্লান্তির ছাপ। সেই সময় কাজের বিষয়ে আর সক্রিয়তা থাকেনা। এই বয়সটিকে অনেকেই অবসর জীবন বলে থাকেন। এই অবসর জীবনে এসে সিংহভাগ মানুষের উপার্জন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তখন ছেলে বা মেয়ের উপর নির্ভরশীল হওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। কারণ তখনো তো আর খরচ থেমে থাকে না। তবে সেটি যাতে না হতে হয়, সেজন্যই রয়েছে পেনশন ব্যবস্থা।
তবে এখন চালু রয়েছে এমন কিছু স্কিম, যার মাধ্যমে পেনশন পাওয়া যায় অবসরকালীন জীবনে। সকলের জন্যই উপলব্ধ রয়েছে এইসব ভিন্ন ভিন্ন পেনশন স্কিম বা পেনশন পলিসি। সেখানে অবসরের আগে কিছু টাকা জমিয়ে অবসর জীবনে মাসিক পেনশন পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো একটি কেন্দ্রীয় সরকারি পেনশন ব্যবস্থার বিষয়ে, যেখানে মাসে ২১০ টাকা জমিয়ে আপনি পেয়ে যেতে পারেন ৫ হাজার টাকার পেনশন। অর্থাৎ কর্মকালীন সময়ে কিছু টাকা জমিয়ে রাখলেই আর অবসরকালীন জীবনের টেনশন করতে হবেনা।
দেশে এখন চালু রয়েছে ‘অটল পেনশন যোজনা’। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে এই পেনশন স্কিম চালু করে কেন্দ্র। তখন থেকে এখনো অবধি মোট ৫ কোটি মানুষ এই পেনশন যোজনার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে এই পেনশন স্কিমে ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা অবধি পাঁচটি পেনশনের স্ল্যাব রয়েছে। ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এই স্কিমে মাসে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা অবধি জমা দেওয়া যায়। তবে বিনিয়োগকারীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে ৬০ বছরের পরেই এই স্কিমের রিটার্ন পাওয়া যায়। কিন্তু আপদকালীন সময়ে টাকা তোলা যায়।
এবার দেখে নেওয়া যাক যে এই স্কিমে কিভাবে মিলবে পেনশন। অর্থাৎ কেউ যদি ১৮ বছর বয়সে এই যোজনায় বিনিয়োগ করতে শুরু করেন, তাহলে প্রতি মাসে তিনি যদি ২১০ টাকা জমা করেন, তাহলে ৬০ বছর বয়সের পর মাসে ৫০০০ টাকার পেনশন মিলবে। কিন্তু কোথায় এই স্কিম চালু করা যায়? এর জন্য আপনার নিকটবর্তী যেকোনো ব্যাঙ্কে যেতে হবে। সেখানে গিয়ের আপনাকে জানাতে হবে যে আপনি এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। ব্যাঙ্ক কর্মীরাই পরবর্তী পদক্ষেপ বাতলে দেবে আপনাকে।