ভারত হল একটি কৃষিপ্রধান দেশ। প্রাচীনকাল থেকেই কৃষিকাজের উপরেই আমাদের দেশের সিংহভাগ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তবে বর্তমান সময়ে কৃষিকাজ যেন দুঃসাধ্য একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতে সবুজ বিপ্লবেত কয়েকবছর পর থেকেই চাষাবাদের এই দুরবস্থা শুরু হয়েছে গোটা দেশে। সারাবছর চাষাবাদ করেও লাভবান হচ্ছেন না কৃষকরা। তাই অনেকেই চাষবাস ছেড়ে অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার জমি বিক্রিও করে ফেলছেন সাতপাঁচ না ভেবেই। ফলস্বরূপ দেশের ফসল উৎপাদন ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে দিনের পর দিন।
তবে দেশের এই অন্নদাতা কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে শুরু থেকেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের কৃষকদের কৃষিকাজে সহায়তার জন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্র ‘কিষান সম্মান নিধি’ যোজনা চালু করেছে। তবে এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই রাজ্যও। রাজ্যের কৃষকদের জন্যও ‘কৃষক বন্ধু’ নামের একটি প্রকল্প রূপায়িত করেছে মমতা সরকার। এই প্রকল্পের ফলে রাজ্যের প্রতিটি কৃষক উপকৃত হয়েছেন। ছোট থেকে বড়, রাজ্যের সব ধরণের কৃষকই এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের অধীনে শুধুমাত্র ১৮ বছর বয়স থেকে ৬০ বছর বয়সী কৃষকদের সহায়তা প্রদান করে থাকে। তবে শুধুমাত্র ভাতা নয়, এই প্রকল্পে কৃষকদের আকস্মিক মৃত্যু হলে তাদের পরিবারকে দেওয়া হয় ডেথ বেনিফিটের টাকাও। ডেথ বেনিফিট হিসেবে পাওয়া যায় ২ লক্ষ টাকা। তবে এই ভাতার টাকা দেওয়া হবে দুটি ভাগে- একটি রবি শস্যের সময়, অন্যটি খারিফ শস্যের সময়। আর এবার খারিফ শস্যের কিস্তির টাকা ঢুকবে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
প্রতিটি পরিবার থেকে একজনই এই সুবিধা পাবেন। একই পরিবারের একাধিক কৃষক এতে আবেদন করলে সবার আবেদন বাতিল হয়। এছাড়াও সময়মতো KYC জমা না দিলেও সেই কৃষকদের নাম বাতিল হবে এই প্রকল্প থেকে। এছাড়াও এই প্রকল্পের জন্য তারাই যোগ্য, যাদের কাছে ২ হেক্টরের কম জমি থাকবে। এর বেশি জমি থাকলে কিন্তু এই টাকা ঢুকবেনা। পাশাপাশি, আবেদনের সময় নামের বানান, জন্মতারিখ বা ঠিকানা বা যেকোনো তথ্য ভুলের জন্য এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হতে পারেন কৃষকরা।