ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই রাজ্য সরকারের অধীনস্থ নানা বিভাগে লক্ষ লক্ষ কর্মচারী কাজ করেন। আর রাজ্য সরকারের দ্বারা প্রণয়িত বেতন কমিশন সরকারের সমস্ত দফতরের কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করে। এই কাজটি সমসাময়িক আয় ও ব্যয়ের হিসেব করেই নির্ধারণ করে বেতন কমিশন। তাই এই বেতন কমিশন প্রতি দশ বছর অন্তর বদলানো হয় কেন্দ্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে। মূলত এটি কেন্দ্রের নিয়ম হলেও অনেক রাজ্য সরকার এখন কেন্দ্রকে এই বিষয়ে অনুসরণ করে চলে। তাই কেন্দ্রের মতো রাজ্যেও পে কমিশন অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয় কর্মচারীদের বেতন।
সম্প্রতি, রাজ্য সরকারের নানা দফতরের কর্মীদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি করেছে একাধিক রাজ্য সরকার। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ, চন্ডীগড়, আসাম, মিজোরাম, মধ্যপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যের সরকার তাদের রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন বেতন কমিশন চালুর ঘোষণাও হয়েছে চলতি অর্থবর্ষে। একইসঙ্গে ২০২৪ সালেও একাধিক রাজ্যে এমন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের জন্য। তবে মার্চ শুরুর আগেই এবার সেলিব্রেট করার মতো খবর এলো কর্ণাটক রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য। ঠিক কি এই খবর? জেনে নিন।
কিছুদিন আগেই ঘোষণা হয়েছিল যে এই বছর নতুন বেতন কমিশন লাগু হবে না কর্ণাটক রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য। আর এই বিষয়টি খোলসা করা হয়েছিল সরকারের তরফে। সরকার জানিয়েছিল যে কর্মীদের দাবিমতো এবছর সপ্তম বেতন কমিশন লাগু করা যাবে না। কারণ এর জন্য অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। আর এই মুহূর্তে রাজ্যের কোষাগারে সেই পরিমান অতিরিক্ত টাকা মজুত নেই। সেই কারণে কর্মীদের এই দাবি পূরণে সক্ষম হবে না কর্ণাটকের রাজ্য সরকার।
তবে শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করতে চলেছে কর্ণাটকের বিজেপি সরকার। কারণ কর্ণাটক রাজ্যের গত বিজেপি সরকারের আমলেই সেই রাজ্যে প্রাক্তন আমলা সুধাকর রাওয়ের সভাপতিত্বে ষষ্ঠ রাজ্য বেতন গঠিত হয়। সেই বেতন কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে দ্বিতীয় দফায়। যদিও সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ ই মার্চ। তারপরেই কেন্দ্রে রয়েছে ভোট। এমন আবহে রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি পূরণে যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, সেই সম্ভাবনাও জোরালো হচ্ছে ক্রমে। তাই কর্ণাটকের রাজ্য সরকারি কর্মীরা শীঘ্রই সুখবর পেতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।