প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Smart Nandini: নন্দিনীর হোটেলে খাবারের আগুন দাম কেন! কারণ ফাঁস করে দিলেন নিজেই

আজকাল নেট দুনিয়ায় যাদের যাতায়াত, তাদের মধ্যে হয়তো এমন মানুষ খুবই কম রয়েছেন যারা 'স্মার্ট নন্দিনী'কে চেনে না। এই নামটা কমবেশি সকলেরই শোনা। টাইট টপ কিংবা টিশার্ট, জিন্স, গলায় ব্লুটুথ…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

আজকাল নেট দুনিয়ায় যাদের যাতায়াত, তাদের মধ্যে হয়তো এমন মানুষ খুবই কম রয়েছেন যারা ‘স্মার্ট নন্দিনী’কে চেনে না। এই নামটা কমবেশি সকলেরই শোনা। টাইট টপ কিংবা টিশার্ট, জিন্স, গলায় ব্লুটুথ ইয়ারফোন- হাসিমুখে মেয়েটিকে খাবার পরিবেশন করতে সকলেই দেখেছেন। কেউ মোবাইল স্ক্রিনে দিদিকে দেখেছেন, কেউ আবার গিয়ে চেখে এসেছেন তার হোটেলের খাবার। নন্দিনী ও তার বাবার কলকাতার অফিসপাড়া নামে পরিচিত ডালহৌসির ফুটপাতে তাদের একটি ছোট্ট ভাতের হোটেল ছিল। সেই থেকেই তার জনপ্রিয়তা। তবে একথা অস্বীকার করা যায়না যে এই নন্দিনী কিন্তু প্রচার পেয়েছেন ফুড ব্লগারদের দৌলতেই।

তবে এখন শুধু ডালহৌসি নয়, কলকাতার বুকে আরেকটি পাইস হোটেল খুলেছেন নন্দিনী। ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করা এই মেয়েটি লকডাউনের সময় বাবার হোটেলের হাল ধরেন। আর এখন নিজের আলাদা এক হোটেল খুলেছেন। এখন তার নতুন পাইস হোটেলে যেমন ভোর জমছে খাদ্যরসিকদের, তেমনই ফুড ব্লগাররা নন্দিনীর নতুন ঠিকানায় পাড়ি দিচ্ছেন নিত্যদিন। সেই কারণেই আবার চর্চায় উঠে এসেছেন এই মহিলা। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরেই ফুড ব্লগারদের মুখে মুখে একটা কথা ঘুরর বেড়াচ্ছে যে নন্দিনীর হোটেলে খাবারের দাবি নাকি অনেক বেশি।

তবে এবার ব্লগারদের এই প্রশ্নের জবাব দিলেন দিদি নিজেই। সম্প্রতি, এক ফুড ব্লগারের ভিডিওতে এই উত্তর দিয়েছেন তিনি। এই ভিডিও সম্প্রতি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এই ভিডিওতে নন্দিনী বলেন, “আমার বাবা যায় নিজে বাজার করতে। আমাদের মাছ নিয়ে আসা হয় মানিকতলা বাজার থেকে। যাঁরা কলকাতা ভালো মতো চেনেন, তাঁরা জানেন, ডালহৌসি থেকে মানিকতলা কত দূর! আমার বাবা সকাল ৫টা থেকে নিয়ে বেলা ১০টা অবধি বাজারে যায় আর আসে। বাবা তিনবার যায়, তিনবার আসে, এই বয়সে! আমার বাবা এখনও পর্যন্ত বাজারটা কারোর হাতে ছাড়েন নাা। আমার উপরও না। আমি পারিও না, আমাকে যেতেও দেওয়া হয় না।”

প্রসঙ্গত, নন্দিনীর খাবারের হোটেলে খাবারের দাম নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই নানা পোস্ট ঘুরছে সামাজিক মাধ্যমে। এর মধ্যে যে পোস্ট সবথেকে বেশি ভাইরাল হয় সেখানে পোস্টদাতা অভিযোগের সুরে লেখেন, ‘আমরা পোলাও মটন কম্বো অর্ডার করেছিলাম সঙ্গে তিন পিস রুটি। মটনের চার পিসের সাইজ যা তাতে বড় জোর ১০০ গ্রাম হবে সেটার দাম নাকি ৪০০ টাকা। ভেজ পোলাও ৮০ টাকা। কোনও মেনু চার্ট নেই, দাম উল্লেখ নেই। আমার বিশ্বাস ওদের নির্দিষ্ট কোনও দাম নেই। তাই এমন একটা দোকানে গিয়ে এত দাম দিয়ে কেন এই খাবার খাব? খুবই অসন্তোষজনক অভিজ্ঞতা।’ যদিও এর উত্তর নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন নন্দিনী।