বিগত কয়েকবছর ধরেই মারণ রোগ ক্যানসার যেন আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে উঠেছে মানবজাতির কাছে। কারণ আমরা হামেশাই শুনে থাকি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর। বিশেষ করে বিনোদন জগতের অনেক নক্ষত্রকে কেড়ে নিয়েছে এই মারণ রোগ। আর এবার সেই তালিকায় জুড়ে গিয়েছে আরেকটি নাম। পুনম পান্ডে। বি-টাউনের সর্বাধিক চর্চিতা মডেলের মধ্যে তার নাম আসে প্রথম সারিতেই। এবার তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। মাত্র ৩২ বছর বয়সেই নাকি না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন এই মডেল অভিনেত্রী। আর এই খবরকে ঘিরে যেমন শোকের ছায়া নেমে এসেছে নেট দুনিয়ায়, একইভাবে এই খবরের সত্যতা নিয়েও ছড়িয়েছে নানা জল্পনা।
শুক্রবার সকালে পুনম পান্ডের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করে এই খবর জানানো হয়। তবে এই পোস্টটি কে করেছেন, তা নিয়ে এখনো কোনো তথ্য সামনে আসেনি। পুনমের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের এই পোস্টে লেখা ছিল, ‘এই সকালটা আমাদের কাছে খুবই কষ্টের। গভীর দুঃখের সঙ্গে সকলকে জানাচ্ছি, সার্ভিকাল ক্যানসারে আমাদের ভালবাসার পুনম মারা গিয়েছেন। যে যে মানুষ এতদিন পুনমের সঙ্গে দেখা করেছেন, পুনমের কাছে এসেছেন, তাদের প্রত্যেকেই পুনমের দয়ালু স্বভাব এবং উদার হৃদয়ের পরিচয় পেয়েছেন। ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই দুরূহ শোকের সময়, আমরা পুনমের কথা ভেবে একটি গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করছি, আমাদের স্মৃতিতে পুনম থেকে যাবেন যদিও।’
আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে নানা বিতর্ক। কে এই পোস্ট লিখেছেন, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়। একইভাবে পুনমের পরিবারের তরফেও তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়নি। এমনকি তার পরিবারের কেউ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতেই চান নি। তাহলে কি সত্যিই এই মডেলের মৃত্যু হয়েছে? এই লাখ টাকার প্রশ্ন যখন ঘুরছে তার অনুরাগীদের মনে, তখন একটি বিনোদন সংবাদ সংস্থার তরফে দাবি করা হয় যে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে নয়, বরং অত্যধিক মাদক সেবনের কারণেই মৃত্যু হয়েছে পুনমের। যদিও এই খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, জীবনকালে নানা বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল কানপুরের পুনম পান্ডেকে। মডেল থেকে নীল ছবির নায়িকা হয়ে ওঠা এই মডেল তার কর্মজীবনে মাত্র চারটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তবে তিনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময়ে। তার করা ঘোষণা তোলপাড় করে গোটা দেশকে। তারপর রাজ কুন্দ্রার নীল ছবি মামলাতেও পুনমের নাম জড়ায়। এর মাঝে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হতে হয় তাকে। কিন্ত এসব সত্ত্বেও নিজের জীবনকে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও তেমনটা আর হয়তো হয়ে উঠলো না পুনমের।