বর্তমান সময়ে দেশের জনপ্রিয় মুখের তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলার রাজনীতিতে মহিলা হিসেবে প্রথমবার একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী পদে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। বাংলার মানুষকে ভরসা দিয়েছেন তিনি। ক্ষমতা নয়, ভালোবাসা দিয়েই রাজ্য চালান তিনি। অনেকেই মনে করেন, রাজনীতির ময়দানে মমতা তৈরি করেছেন নিজস্ব স্টাইল। শূন্য থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠা করেছেন ব্র্যান্ড মমতাকে। এবার জাতীয় রাজনীতিতেও ব্র্যান্ড মমতার উত্থান ঘটেছে।
সামনেই লোকসভা ভোট। তাই নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে প্রস্তুতি তুঙ্গে। আর এই ব্যস্ত সময়ের মাঝেই একটুকরো বিনোদন নিয়ে দিদি নং-১ শোয়ের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জি-বাংলার এই শো এমনিতেই রাজ্যের মহিলাদের কাছের আকর্ষণীয়। আর সেই মঞ্চে সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অর্ধাঙ্গিনী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশাপাশি দেখা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা মা-মাটি-মানুষের ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এদিনের অনুষ্ঠানে এসে রুটি বেলা থেকে নাচ, গান সবই করলেন মমতা।
তবে এই শোয়ে এসে এদিন নিজের জীবনের একটি সিক্রেট ফাঁস করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আসল জন্মদিন নিয়ে অজানা কথা বললেন মমতা। তিনি বলেন যে ৫ জানুয়ারি তার আসল জন্মদিন নয়। মমতা বলেন, “জানো খাতায় কলমে আমার আর আমার দাদার বয়স এক। আসলে দাদার যখন বয়স লেখা হয়েছিল স্কুলে তখন বাবা বলেছিল যা খুশি বসিয়ে দাও। সেই থেকে আমার আর ওর এক বয়স হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরে আর সেটা বদলানো হয়নি।” তিনি আরো বলেন, “আমার সব কিছুতেই দেখবে বৃষ্টি হয়। এর কারণ আমার জন্মদিনের দিন দারুণ বৃষ্টি হয়েছিল। আমি দুর্গা অষ্টমীতে হয়েছি। আমার আসল জন্মদিন ৫ অক্টোবর। সেদিন খুব বৃষ্টি হয়েছিল। আমি একেবারে সন্ধিক্ষণে জন্মেছিলাম। আর জন্মের পরের দিন চোখ খুলেছিলাম সূর্যের আলো ফোটার সঙ্গে।”
‘দিদি নং-১’-এর এই বিশেষ এপিসোডে সম্প্রচারিত হয় ৩ মার্চ। এই অনুষ্ঠানের শুরুতেই ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখা যায় তার ড্যান্স ট্রুপের সঙ্গে ‘দুর্গা-স্তুতি’ নৃত্য পরিবেশন করতে। তারপরেই রাজ্য সঙ্গীত গেয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এই গানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গলা মেলান ইন্দ্রনীল সেন, অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, রূপঙ্কর বাগচিদের সঙ্গে। এরপর মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহস্থালির কাজ করতে দেখা যায়। শোয়ের মঞ্চে রুটি বেলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।