অমিতাভ বচ্চন বলিউডের এক মাইলফলক, যাকে গোটা দেশ বিগ-বি বলেই চেনে। দীর্ঘ সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। বয়স অনুযায়ী চরিত্র বদলেছে তাকে ঘিরে, কিন্তু আজও ছবিতে কেন্দ্রীয় আকর্ষণ থেকে যায় তাকে ঘিরেই। বয়স বাড়লেও অভিনয়ের সঙ্গে কোনোরূপ আপোষ করেননি বচ্চন সাহেব। এখনো ক্যামেরার সামনে নিজেকে একইভাবে সাবলীল রাখেন তিনি। কিন্তু একটা সময় ‘হার্টথ্রব’ নায়ক ছিলেন তিনি। সেই সময় পল্লীগ্রাম থেকে শহরে তার মহিলা ভক্তের সংখ্যাটা রীতিমতো অবাক করেছিল সকলকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের অর্ধাঙ্গিনী জয়া বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো আঁচ আসতে দেননি অভিনেতা। বলা চলে, তাদের দাম্পত্যের সম্পর্ক এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
তবে শুধু অমিতাভ বচ্চন নন, অভিনয়ের দুনিয়ায় জয়া বচ্চনের অবদান কোনো অংশে কম নয়। তবে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে বিয়ের আগে তিনি পরিচিত ছিলেন জয়া ভাদুড়ী হিসেবে। ১৯৪৮ সালের ৯ এপ্রিল একটি বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি তরুণ কুমার ভাদুড়ীর কন্যা। তরুণ বাবু ছিলেন একজন সাংবাদিক, লেখক এবং কবি। জীবনের শুরুতে জয়া ভোপালের সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট স্কুলে অধ্যয়ন করেন। তারপর পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া থেকে স্নাতক হন। তবে এর মাঝেই জয়ার অভিনয় কেরিয়ার শুরু হয়ে যায়।
জয়া ভাদুড়ী প্রথম ১৯৬৩ সালে অনিল চ্যাটার্জি এবং মাধবী মুখার্জীর সাথে মাত্র ১৫ বছর বয়সে সত্যজিৎ রায়ের বাংলা চলচ্চিত্র ‘মহানগর’-এ প্রথম অভিনয় করেন। এরপর তিনি ১৯৭১ সালে হৃষিকেশ মুখার্জির পরিচালনায় ‘গুড্ডি’ ছবিতে অভিনয় করেন তারকা ধর্মেন্দ্রের সাথে।গুড্ডি ছিল একটি ব্যবসায়িক সফল ছবি এরপর ‘উপহার’, পিয়া কা ঘর’, ‘পরিচয়’, ‘কোশিশ, এবং ‘বাওয়ারচি’ ছবি তাকে সুপারস্টার বানিয়েছে।
কিন্তু অভিনয় কেরিয়ার শুরুর অনেক আগে থেকেই জয়া রোজগার করতেন। জানা যায়, মাত্র ১৩ বছর বয়সে নভ্যা নভেলির পডকাস্টে কাজ শুরু করেন। সেই বয়সেই তিনি প্রথম রোজগার করেন। তবে সেই রোজগার কত, তা তার মনে নেই বিশেষ। কারণ সেই সময় রোজগারের টাকা তাকে তুলে দিতে হত তার বাবার হাতে। কিন্তু তারপর স্কুল শিক্ষিকা হিসেবে তিনি কাজ করেন। সেখান থেকে তিনি মাসিক ৩ হাজার টাকা বেতন পেতেন। তবে তখন তিনি নিজের রোজগারের টাকা নিউজের হাতেই রাখতেন।