বর্তমানে ভারতীয় যুবকদের মধ্যে ব্যবসা শুরু করার প্রবণতা বাড়ছে। আর সেই কারণেই অনেকেই ‘স্টার্ট-আপ’ শুরুর দিকে ঝুঁকছেন। আর যুবকদের মধ্যে এই ব্যবসা নিয়ে কৌতূহল বৃদ্ধির কারণেই ‘শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়া’র মতো টিভি শো এখন ভারতেও বিপুলভাবে জনপ্রিয়। আর সোনি টিভির এই শোয়ে শার্ক হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন নমিতা থাপার। নমিতা থাপার হলেন একজন ভারতীয় উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী। তিনি ‘এমকিউর ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড’ এর একজন নির্বাহী পরিচালক। যেই কারণেই তিনি অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগও করে থাকেন।
যদিও এমকিউর ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হলেন নমিতা থাপারের বাবা সতীশ মেহতা। তবে যোগ্য মেয়ে হিসেবে বাবার ব্যবসা এখন নিজের হাতে সামলাচ্ছেন নমিতা। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাও প্রশংসনীয়। কারণ নমিতা প্রথমে পুণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমার্সে স্নাতক করেছেন। তারপর তিনি তিনি ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুকা স্কুল অফ বিজনেস থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর আবার ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়া ICAI থেকে চার্টার্ড একাউন্টেন্ট কোর্স করেছেন। এককথায় সবদিক দিয়ে উচ্চশিক্ষিতা তিনি।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল কত টাকা রোজগার করেন এই মহিলা। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে কতটা সম্পত্তির মালিক তিনি? উল্লেখ্য, ২০০৭ সাল থেকে নমিতা বাবার তৈরি কোম্পানি এমকিউর-এর দায়িত্ব নেন। তাঁর আসার পর থেকেই এই ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি সমস্ত বাধা অতিক্রম করে ছুটতে থাকে ভারতের বুকের। বর্তমানে নমিতার কোম্পানির বার্ষিক টার্নওভার প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। সেই কারণে নমিতাও হয়ে উঠেছেন ধনকুবের। এই মহিলা উদ্যোগীর বর্তমান সম্পত্তিও প্রায় ৬০০ কোটির উপরে।
তবে এখানেই নমিতার রোজগারের হিসেব সীমিত নয়। নমিতা ব্যবসার পাশাপাশি অনেকভাবে উপার্জন করেন। এই মহিলা টিভি শো ‘শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়া’-র অন্যতম প্রধান মুখ। সেই কারণে এই শো থেকেও ভালো রোজগার করেন নমিতা। জানা যায় এই শোয়ের প্রতি এপিসোডে পারিশ্রমিক হিসেবে তিনি নিতেন 8 লাখ টাকা। এছাড়াও যদি বিনিয়োগের কথা ধরা হয়, সেক্ষেত্রে প্রথম সিজনে তিনি মোট ২৫ টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন ১০ কোটি টাকা। এছাড়াও ইউটিউব চ্যানেল থেকেও রোজগার করেন নমিতা। সেই কারণে বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে তার। একইসঙ্গে গাড়ির সংগ্রহেও বিলাসিতা লক্ষ্যনীয়।