বিগত কয়েকবছর ধরেই পরকীয়া প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যে শোভন-বৈশাখীর প্রেমের কাহিনী সকলেরই কমবেশি জানা। যদিও তারা বিষয়টিকে কোনদিনই গোপন করতে চাননি। শুরু থেকেই খোলামেলা ছিল তাদের সম্পর্কের বিষয়টা। বলা বাহুল্য, বয়সের দিকে নজর না দিয়ে দুজনেই দুজনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন অনেকদিন ধরেই। কখনো প্রেম দিবসে একসাথে নাচ, তো কখনো আবার মহাঅষ্টমীর দিনে ম্যাচিং সাজ। বলা যায়, সব অনুষ্ঠানেই আলাদা করে নজর কাড়েন এই দুই মুক্তবিহঙ্গ।
তবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাম্পত্য জীবনের রূপরেখা কিন্তু মোটেই জীবনের সঙ্গে সমান্তরাল ছিল না। তার জীবনে শোভনের আগমনের আগে তিনি বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন মনোজিৎ মন্ডলের সঙ্গে। তবে তাদের মাঝে সম্পর্কটা মোটেই সুখের ছিল না। শুরু থেকেই অশান্তি ও মতবিরোধ ঘটে তাদের মাঝে। শোনা যায়, তার স্বামী নাকি তার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা বোধ করেনি কোনোদিন। এমনকি মেয়ের সামনেই এই কাজ হয়েছে বলে জানান বৈশাখী। এছাড়াও ছোট মেয়েকে নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানান অধ্যাপিকা।
তবে ২০২২ সালে মনোজিৎ মন্ডলের সঙ্গে বৈশাখীর দাম্পত্য জীবন আইনত শেষ হয়। আলিপুর আদালত তাদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় সিলমোহর দেয়। তবে সেই দাম্পত্য যে সুখের ছিল না, তাও আফসোস করে বলেন বৈশাখী। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “জীবনে ভালোবাসাটা যথেষ্ট নয়। হয়ত আমি ওর মনের মতো ছিলাম না। হয়ত সেইকারণেই ও আমার উপর অত্যাচার করেছে। আমি যাকে ভালোবাসি সে আমাকে ভালোবাসে না, এটা কোনও মেয়ের পক্ষে মেনে নেওয়াটা খুব কষ্টসাধ্য। অনেক সময় আমি ভাবতাম, কী নেই আমার মধ্যে যার জন্য আমাকে ভালোবাসল না।”
এছাড়াও প্রাক্তন সম্পর্ক প্রসঙ্গে বৈশাখী বলেন, “মনোজিৎ-কে সুখে রাখার জন্য আমি হেন প্রচেষ্টা নেই করিনি। যেখানে যেমন চেয়েছে তেমন থেকেছি। কোনও মেয়ের কী ভালোলাগে প্রচণ্ড মার খেয়ে কারুর সঙ্গে বিছানায় যেতে? কিন্তু আমার তাতেও মনে হয় তাতেও যদি ও শান্তি পায়। ওইটুকু সময় যদি আমাকে ভালোবাসে! যখন আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে, আমি প্রশ্ন করেছিলাম- কোনওদিন আমাকে ভালোবেসেছিলি? জবাব এসেছিল- তোর শরীরটাকে ভালোবেসেছিলাম।” এরপর নিজের উপলব্ধিকে প্রকাশ ককর্তে গিয়ে বৈশাখীর বলেন, “শরীরের খিদে তো যে কেউ মেটাতে পারে। আমি স্ত্রী হিসাবে ব্যর্থ, নারী হিসাবেও ব্যর্থ। আমি চাইব আর কারুর যেন পরিণতি বৈশাখীর মতো না হয়”।