বাংলা রাজনৈতিক মহলে সুপারহিট শোভন-বৈশাখী জুটি। শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রেমের কথা কারো অজানা নয়। যদিও তারা বিষয়টিকে কোনদিনই গোপন করতে চাননি। শুরু থেকেই খোলামেলা ছিল তাদের সম্পর্কের বিষয়টা। বলা বাহুল্য, বয়সের দিকে নজর না দিয়ে দুজনেই দুজনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন অনেকদিন ধরেই। কখনো প্রেম দিবসে একসাথে নাচ, তো কখনো আবার মহাঅষ্টমীর দিনে ম্যাচিং সাজ। বলা যায়, সব অনুষ্ঠানেই আলাদা করে নজর কাড়েন এই দুই মুক্তবিহঙ্গ।
তবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাম্পত্য জীবনের রূপরেখা কিন্তু মোটেই জীবনের সঙ্গে সমান্তরাল ছিল না। তার জীবনে শোভনের আগমনের আগে তিনি বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন মনোজিৎ মন্ডলের সঙ্গে। তবে তাদের মাঝে সম্পর্কটা মোটেই সুখের ছিল না। তবে তার জীবনের এমন অন্ধকার অধ্যায়েই আগমন ঘটে শোভনের। বন্ধুত্ব থেকে ক্রমেই প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন দুজন। আর এর মাঝেই স্বামীর বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে এসে থাকার প্রস্তাব বৈশাখীকে দেন শোভন। শুরুতে এই সিদ্ধান্ত নিতে না পারলেও পরে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন বৈশাখী। তবে এই সময়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বৈশাখী বলেন, “একটা সময় এমনও দিন গেছে প্রতিদিন রাতে কাঁদতাম, বালিশ ভিজে যেত।” এই সময়েই শোভনকে পাশে পেয়েছিলেন বৈশাখী।
তবে শুধু শোভনকে পাশে পাওয়া নয়, শোভনের সান্নিধ্য নাকি বৈশাখীর জীবনের অনেক কিছুই বদলে দিয়েছিল। তবে শুধু বৈশাখীর জীবন নয়, তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শোভনের জীবনেও নাকি অনেক পরিবর্তন এসেছিল। এসব কথা এবার একবাক্যে স্বীকার করলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া বদল প্রসঙ্গে বৈশাখী বলেন, “আমার সঙ্গে শোভনের সঙ্গে যখন আলাপ হয় তখন আমার জীবনে একটা বিরাট পরিবর্তন আসে। মনে হয়েছিল আমার আর শোভনের জীবনে কত মানুষের জীবনে যেন কোথা থেকে কত মানুষের দখল এসে গেল। এতে আমি অভ্যস্থ ছিলাম না।”
তবে দাম্পত্য জীবন থেকে বেরিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেও বৈশাখী তার নিজের চারপাশে একটা অদৃষ্ট গন্ডি তৈরি করেছিলেন। আর সেই কারণেই সবাইকে তিনি নিজের জীবনে আসার জন্য আপোষ করতেন না। একইভাবে জীবন নিয়ে প্রাইভেসি বজায় রাখতেন বৈশাখী। এই সাক্ষাৎকারে তাই তিনি আরো বলেন, “আমি ভীষন প্রাইভেসি ভালোবাসতাম। আমার সব সময় মনে হতো একটা সীমারেখার পর আর কাউকে অ্যালাও করা উচিত নয়। আমার কাছের মানুষেরাই সবটা একমাত্র জানতে পারত। আমি সবার ভালো বন্ধু। কিন্তু আমার কাছে আসতে গেলে সময় লাগে।”