শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অদূর অতীতে অনেক দুর্নীতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তবে এর মাঝেও শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। যদিও এখন শিক্ষকতার চাকরি পাওয়া মুখের কথা নয়। কারণ আজকাল শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে হলে তার আগে প্রশিক্ষণমূলক কোর্স করা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়ার জন্য ডি.এল.এড কোর্স করতে হয়। এছাড়া, উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকা হওয়ার জন্য বি.এড কোর্স করতে হয়। এসব কোর্স করেও অনেকে চাকরির আশায় বসে রয়েছেন।
সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একটি সুখবর এসেছে রাজ্য সরকারের তরফে। জানা গেছে, শীঘ্রই রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। সামনেই যেহেতু লোকসভা ভোট, আর নিয়োগ ইস্যুতে অনেকটা কোণঠাসা তৃণমূল, সেই কারণেই এবার ভোটের আগে নিয়োগ নিয়ে ভাবতে চলেছে রাজ্যে শাসক দল। জানা গেছে, শীঘ্রই রাজ্য সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন স্কুলে তৈরি হওয়া শিক্ষকের শুন্যপদের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে।
জানা গেছে, কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন ভোকেশনাল স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হতে পারে। এই বিষয়ে সম্প্রতি, রাজ্যের কারিগরি বিভাগ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। আর এই বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যের মধ্যে যে ৭২৬ টি ভোকেশনাল স্কুল রয়েছে সেখানে শিক্ষক নিয়োগ ককরে হবে বলে জানা গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত এই শিক্ষক নিয়োগের জন্য কতগুলি শূন্যপদ রয়েছে তা জানানো হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে রাজ্যজুড়ে প্রায় ৫০০ শূন্যপদে ভোকেশনাল স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য।
উল্লেখ্য, আগে রাজ্য সরকারের এই সমস্ত ভোকেশনাল স্কুল চালু হলেও তাতে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস করানো হত। তবে বিগত কয়েকবছরে রাজ্যের ভোকেশনাল স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। সেই কারণে এবার এইসব স্কুলে সরকারি শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগের চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য। সেই কারণে, সম্প্রতি ডিরেক্টরেট অব ভোকেশনাল এডুকেশন এন্ড ট্রেনিংয়ের তরফে রাজ্যের একাধিক স্কুলকে শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তবে এই পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা প্রভৃতি তথ্য সামনে আসেনি।