শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অদূর অতীতে অনেক দুর্নীতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তবে এর মাঝেও শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। যদিও এখন শিক্ষকতার চাকরি পাওয়া মুখের কথা নয়। কারণ আজকাল শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে হলে তার আগে প্রশিক্ষণমূলক কোর্স করা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়ার জন্য ডি.এল.এড কোর্স করতে হয়। এছাড়া, উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকা হওয়ার জন্য বি.এড কোর্স করতে হয়। এসব কোর্স করেও অনেকে চাকরির আশায় বসে রয়েছেন।
সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একটি সুখবর এসেছে রাজ্য সরকারের তরফে। জানা গেছে, শীঘ্রই রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। সামনেই যেহেতু লোকসভা ভোট, আর নিয়োগ ইস্যুতে অনেকটা কোণঠাসা তৃণমূল, সেই কারণেই এবার ভোটের আগে নিয়োগ নিয়ে ভাবতে চলেছে রাজ্যে শাসক দল। জানা গেছে, শীঘ্রই রাজ্য সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন স্কুলে তৈরি হওয়া শিক্ষকের শুন্যপদের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে।
সূত্রের খবর, মোট ১,৫০০ শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। আর এইসব শূন্যপদ তৈরি হয়েছে রাজ্যের সরকারি স্কুল, মডেল স্কুল এবং নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট স্কুলে। জানা গেছে, রাজ্যে এখনো ৪৯ টি পুরোনো সরকারি স্কুল, ৫৫ টি মডেল স্কুল এবং ৩৮ টি ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়নস গ্রান্ট ফান্ডের আওতায় স্কুল রয়েছে। এই স্কুলেই তৈরি হয়েছে এইসব শূন্যপদ। আর এইসব স্কুলে যেহেতু নিয়োগ হয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে, তাই এবারেও এই ১,৫০০ শূন্যপদে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করবে পাবলিক সার্ভিস কমিশনই।
উল্লেখ্য, শেষবার এইসব সরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল ৬ বছর আগে। ২০১৮ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশন শেষবারের মতো এইসব স্কুলে নিয়োগ করে। তবে সেবার মাত্র ৮৫০ টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়। সেই পরিমান পর্যাপ্ত ছিল না। সেই কারণেই এইসব স্কুলগুলিতে শিক্ষক ও শিক্ষিকার অভাব রয়েই গেছে। এদিকে একাধিকবার চাকরি প্রার্থীরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে এবার এইসব প্রশ্নের জবাব দিতে শূন্যপদ ঘোষণা করতে পারে পাবলিক সার্ভিস কমিশন।
