বাংলায় মাসখানেক আগেই শুরু হয়েছে বসন্তকাল। সেই সঙ্গে বদলে গিয়েছে প্রকৃতির রূপ। একইভাবে বিগত কয়েক সপ্তাহে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পারদের অঙ্কটা। ইতিমধ্যে রংয়ের উৎসব দোলযাত্রা পেরিয়ে গিয়েছে। অন্যবছর এই সময়ে আরো বেশি গরম পড়ে যায়। তবে এবছর শীতের প্রভাব কিছুদিন বেশি স্থায়ী ছিল। তবে এবার সেই সুখের সমাপ্তি ঘটতে চলেছে। কারণ এবার বাংলায় বাড়তে চলেছে পারদ। ইতিম পারদের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে জেলায় জেলায়। বলা যায়, একপ্রকার গ্রীষ্মের সূচনা ঘটে গিয়েছে বাংলার বুকে। আর কয়েকদিন পরেই হয়তো চাঁদিফাটা গরমে পুড়বে রাজ্য।
এদিকে গ্রীষ্মের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশজুড়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি দিনই বাকি রয়েছে। তারপরেই বিশ্বের স্বতরকে বড় গণতন্ত্রের সবথেকে বড় নির্বাচন হতে চলেছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই মতো নির্বাচনী বিধি লাগু হয়েছে দেশে। প্রচার শুরু হয়েছে প্রায় সব দলেরই। এর মাঝে রাজ্যের শিক্ষা দফতর এক সুখবর দিলো স্কুল পড়ুয়া ও স্কুলে কর্মরত শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য। কারণ এবছর ভোটের কারণে আগেই গরমের ছুটি পড়ে যাবে রাজ্যে।
সম্প্রতি, গরমের ছুটির বিষয়ে আপডেট জানাতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কোন তারিখ থেকে এবং কত দিনের জন্য স্কুল বন্ধ থাকবে, তা জানিয়ে দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবার ৬ মে থেকে গরমের ছুটি পড়বে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে। ছুটি থাকবে ২ জুন অবধি। অর্থাৎ, যেখানে সাধারণত ১০ দিন গরমের ছুটি দেওয়া হয় রাজ্যের স্কুলগুলিতে, সেখানে এবছর ১২ দিন বাড়তি ছুটি দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, এবছর মোট ২২ দিন গরমের ছুটি থাকবে রাজ্যের স্কুলগুলিতে।
উল্লেখ্য, ১৯ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। ওইদিন ভোট রয়েছে উত্তরবঙ্গের কিছু কেন্দ্রে। আর যেহেতু স্কুলে ভোটের বুথ করা হয়, তাই আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল অবধি কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি, দার্জিলিং, কালিম্পং উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের সব স্কুল বন্ধ থাকবে ২৪ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল অবধি। এছাড়াও বাকি দফার ভোটেও সেই সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুল বন্ধ থাকবে। সব মিলিয়ে এবার গরমে বাড়তি ছুটি পাচ্ছে স্কুল পড়ুয়ারা।