দেশের সবথেকে বড় গণ পরিবহণ মাধ্যম হল রেল। নিত্য দিন কোটি কোটি মানুষ নির্ভরশীল ভারতীয় রেলের উপর। পাশাপাশি দেশের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে গিয়েছে রেল পরিষেবা। যা আরও বিস্তারের কাজ চলছে। টুই ভারতীয় রেলকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক-এর তকমা দেওয়া হয়। যার পুরো ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৬৭ হাজার ৩৬৮ কিমি। ভারতীয় রেলের ট্র্যাক বিশাল ১১৫,০০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এবং এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নেটওয়ার্ক, যা একক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়। পাশাপাশি ভারতীয় রেল ৪টি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমাও পেয়েছে কয়েকবছর আগে। সেই কারণেই রেলে চাকরির স্বপ্ন দেখেন অনেকেই।
এদিকে বছরখানেক আগেই করোনাকালীন সময় কাটিয়ে দেশের মানুষ ফিরেছে স্বাভাবিক জনজীবনে। আর বিগত সময়ের দীর্ঘ লকডাউনে বেড়েছে বেকারত্ব। শিক্ষিত যুব সমাজের বেশিরভাগই আজ কর্মহীন। কাজের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেউ কেউ। কেউ আবার সরকারি চাকরির আশায় দিন গুনছেন। আর এই অবস্থায় দেশের অর্থনীতির সঙ্গে অনেকেরই চাকরি করার আশা ফুরিয়ে আসছে। হতাশ হচ্ছেন শিক্ষিত সমাজ, যারা এখনো কর্মহীন। তবে এই পরিস্থিতিতে এই শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুবতীদের জন্য দারুন সুযোগ দিতে চলেছে ভারতীয় রেল।
কয়েকদিন আগে বাজেট ঘোষণার সময় কয়েক হাজার শূন্যপদে নিয়োগের কথা বলেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আর এবার ভারতীয় রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড রেল টেকনিশিয়ান পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল তাদের ওয়েবসাইটে। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মোট ৯ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করবে রেল। যদিও এখনো আবেদন শুরু হয়নি। তবে অনুমান করা হচ্ছে যে আগামী মার্চ মাসেই শুরু হবে আবেদন। এছাড়াও এইসব পদের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হবে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে নাগাদ।
এইসব পদে চাকরি পেতে হলে আগে স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষা কিংবা উচ্চমাধ্যমিক কিংবা সমতুল্য পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এছাড়াও ইয়াৰ পদে চাকরির আবেদন করতে হলে মেকানিকাল, ইলেকট্রনিক বা অটোমোবাইল নিয়ে ২ বছরে আইটিআই ডিগ্রি কোর্স করতে হবে। এবার এইসব যোগ্যতা থাকলে তবেই রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করতে হত। এর জন্য প্রথমে দিতে হয় লিখিত পরীক্ষা। তারপর আসে ইন্টারভিউয়ের পালা। এই দুই পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা দিতে পারে যায়। এইসব পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই চাকরি পাওয়া যায়।