একজন পড়ুয়ার জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা হল উচ্চমাধ্যমিক। এই পরীক্ষার ভিত্তিতেই সিংহভাগ পড়ুয়ার কেরিয়ার তৈরি হয়। সেই কারণেই আর্টস হোক বা সায়েন্স কিংবা কমার্স- সব ট্রেডের পড়ুয়ার কাছে উচ্চমাধ্যমিক হল একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। তবে এবার থেকে পুরোপুরি বদলে যেতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নিয়মকানুন। একবার নয়, বরং এবার থেকে দুবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হবে পড়ুয়াদের। কলেজের নিয়ম অনুযায়ী এবার সেমিস্টার পদ্ধতিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা করানোর সিধান্ত নিলো উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। একটি সেমিস্টারে শুধুমাত্র মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের উত্তর দিলেই পাশ করতে পারবেন পড়ুয়ারা। কবে থেকে চালু হচ্ছে এই নতুন নিয়ম? জেনে নিন এই নিবন্ধের বাকি অংশ পড়ে।
দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সেমিস্টার ব্যবস্থা চালুর জল্পনা চলছিল। তবে এবার ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই হল বড় ঘোষণা। মার্চেই বড়সড় পরিবর্তন এলো রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায়। এবার থেকে জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা অর্থাৎ এবার উচ্চমাধ্যমিকেও চালু হচ্ছে সেমেস্টার পদ্ধতি। ২০২৬ সাল থেকেই একটি ফাইনাল নয়, বরং দুটি সেমেস্টারে হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। অর্থাৎ এখন যেমন একেবারে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হয়, সেটা আর হবে না। বরং জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষাকে দুটি ভাগে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। কলেজের ধাঁচেই সেমেস্টার চালু করতে করছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, একটি সেমেস্টার হবে নভেম্বরে। সূত্রের খবর, এই সেমিস্টারে শুধুমাত্র ‘মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেন’ বা এসসিকিউ প্রশ্ন আসবে। ওএমআর শিটে উত্তর দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। এমসিকিউ প্রশ্নের ভিত্তিতে পড়ুয়ারা নির্দিষ্ট অপশন বেছে নিতে পারবেন। সেটা চিহ্নিত করে দিতে হবে। অর্থাৎ আপাতত শুধুমাত্র পরিবেশ বিজ্ঞান পরীক্ষার ক্ষেত্রে যেমন হয়, সেরকমই হবে প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষায়।পাশাপাশি, দ্বিতীয় সেমেস্টার হবে মার্চে। দ্বিতীয় সেমেস্টারে সব ধরনের প্রশ্ন থাকবে। অর্থাৎ ছোট প্রশ্ন যেমন থাকবে, তেমন বড় প্রশ্নও থাকবে।
তবে শুধুমাত্র পরীক্ষা ব্যবস্থা নয়, উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসেও বেশ কিছু পরিবর্তন করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। দীর্ঘ ১১ বছর পর বদলে আনা হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ৪৯টি বিষয়ের সিলেবাসে। একইসঙ্গে এবছর থেকে ৬০-এর পরিবর্তে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় এখন মোট বিষয় হবে ৬২ টি। এর মধ্যে ১৩ টি ভোকেশনাল বিষয় আছে। জানা গেছে, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের সিলেবাসে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ইতিহাসের সিলেবাসেও হচ্ছে রদবদল। তবে সিলেবাস শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।