পশ্চিমবঙ্গের শিশুদের বড় হওয়ার আগেই ভর্তি করা হয় স্কুলে। প্রথমে প্রাইমারি স্কুল, তারপর সেকেন্ডারি স্কুল। আর এই সেকেন্ডারি স্কুলের এক শিক্ষার্থীর মূল টার্গেট হলো মাধ্যমিক পরীক্ষা। কারণ একজন পড়ুয়ার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা হল মাধ্যমিক। তবে এখানেই শেষ নয়, কারণ মাধ্যমিক পাস করার একবছর পর আরো একটি অন্যতম বড় পরীক্ষা হল উচ্চমাধ্যমিক। এই দুই পরীক্ষার ফলাফলের উপর এক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের রূপরেখা নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় এই দুটি পরীক্ষা।
এখন রাজ্যে চলছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে কয়েকদিন আগেই। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্কের। কারণ এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিনেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে রাজ্যে। দ্বিতীয় পরীক্ষার দিনেও একই ঘটনা ঘটে। তবে তারপর পর্ষদ ও রাজ্য সরকারের প্রশাসন বিয়টিকে রুখতে সক্ষম হয়। অভিযুক্তদেরও খোঁজ মেলে শেষমেষ। তারপর থেকে আর এমন প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি মাধ্যমিক পরীক্ষায়।
তবে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগেই একটি বিষয়কে ঘিরে শুরু হয়েছিল জল্পনা। আর সেই বিষয়টি ছিল এটাই যে মাধ্যমিক পরীক্ষার সমস্ত পরীক্ষার্থীদের টাকা দেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা শুরুতে কয়েকমাস আগে থেকেই এই চাউর হয় সামাজিক মাধ্যমে। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের কত টাকা দেওয়া হবে সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। একইভাবে টাকা দেওয়ার পন্থা নিয়েও কোনো খবর সামনে আসেনি। তাই পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ফের কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে।
তবে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের এই কৌতূহল দূর করে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শেষমেষ এই টাকা দেওয়ার ঘোষণা করল পর্ষদ। জানা গেছে, যেসব পরীক্ষার্থী পুরো পরীক্ষা সঠিকভাবে দিয়েছে তারা এই টাকা পাবে। এর জন্য একটি পোর্টাল চালু করবে পর্ষদ। এই পোর্টাল চালুর ৪৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনে। তবে মাত্র ১০ টাকা দেওয়া হবে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে। পর্ষদ জানিয়েছে যে এবার পরীক্ষার খরচ বৃদ্ধির কারণে এই টাকার অঙ্ক বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তবে এতে কতজন পরীক্ষার্থী আবেদন করবে, সেটাই এখন দেখার।