পৃথিবীর তিনভাগ জল, একভাগ স্থল। অর্থাৎ, আমাদের পৃথিবীর বেশিরভাগ স্থানেই রয়েছে জল। এর কারণ হল পৃথিবীর স্থলভাগকে ঘিরে থাকা পাঁচটি মহাসাগর ও একাধিক সাগর। এছাড়াও পৃথিবীর বুকে অবস্থিত জলভাগের মধ্যে স্থান দখল করে থাকে বিভিন্ন নদী, হ্রদ, পুকুর, খালবিল। তবে এসব জল ওয়ানের যোগ্য হয়না সবসময়। কারণ সমুদ্রের জলে থাকে অত্যধিক মাত্রার অম্লত্ব। এছাড়াও পৃথিবীর সিংহভাগ জল স্বাদেও নোনতা হয়। তাই পানের যোগ্য জল যে পৃথিবীতে কম পরিমানে রয়েছে, তা বলাই যায়।
আমরা মূলত ভূগর্ভস্থ জল পান করে থাকি। অর্থাৎ, বৃষ্টি বা অন্যান্য উৎস থেকে যে জল মাটি চুঁইয়ে পৃথিবীর ভেতরের স্তরে জমা হয়, তা বোরিং করে বের করে পান করি আমরা। কিন্তু এই জলও সবসময় একশোভাগ শুদ্ধ হয়না। তার কারন হল জলে মিশে থাকা ক্ষতিকর খনিজ রাসায়নিক। অনেক জায়গায় ভূগর্ভস্থ জলে আয়রনের পরিমান বেশি থাকে, কোথাও আবার আর্সেনিকের মতো বিষাক্ত মৌল মিশে থাকে জলের সঙ্গে। আর এইসব জল দীর্ঘদিন পান করলেই শরীরে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব হয়।
এইসব কারণেই পরিশোধিত জল ওয়ান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আজকাল জল শোধনের জন্য নানা উপায় অবলম্বন করা হয়। আগেকার দিনে জল ছেঁকে বা ফুটিয়ে খাওয়ার রীতি চালু থাকলেও এখন অনেকেই ওয়াটার ফিল্টারের মাধ্যমে জল শোধন করেন। আর আজকাল বাজারে অনেক ধরণের ফিল্টার উপলব্ধ রয়েছে। যেমন ক্যান্ডেল যুক্ত সাধারণ ফিল্টার পাওয়া যায়, তেমনই আবার বেশি দাম দিয়ে ইউভি ফিল্টারও বাজারে উপলব্ধ রয়েছে। কিন্তু জলের জন্য এত দাম দিয়ে ফিল্টার কেনার সামর্থ অনেকেরই থাকেনা। তাই শুদ্ধ জলের সংকট এখনো দেখা যায় নিম্নবিত্ত সমাজে।
তবে আপনার জন্য এটি একটি সমস্যা জলে তার সমাধানের পথ রয়েছে। আপনি নিখরচায় বাড়িতে বসেই বানিয়ে নিতে পারবেন ফিল্টার। এর জন্য আপনার দরকার পড়বে কয়েকটি বড় বোতল, কয়েকটি পিভিসি পাইপ, কিছু পরিষ্কার বালি, কিছু কাঠকয়লা এবং ক্লোরিন ট্যাবলেটের। প্রথমেই বোতলের উপরে ও নীচে দুদিকে ফুটো করে তাতে পাইপ ঢুকিয়ে দিন। এবার একটি বোতলে কাঠকয়লা, একটিতে বালি ঢুকিয়ে দুটিকে পাইপের সাহায্যে জুড়ে দিন। এবার একটি বোতলে জল ঢেলে অন্য বোতল থেকে বয়ে আসা সেই জল একটি পাত্রে জমা করুন। জমা করা জলে ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে সারারাত রেখে দিন। সকালে অনায়াসে সেই জল পান করতে পারেন।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞর দ্বারা যাচাই করিয়ে তবেই সেই জল পান করা উচিত।