জানুয়ারির শেষলগ্নে শীতের দাপট শুরু হয়েছে বাংলায়। একদিকে যেমন কনকনে উত্তরে বাতাসের প্রভাব, অন্যদিকে বাতাসও হয়েছে রুক্ষ্ম-শুস্ক। আর এই শীত শেষের সন্ধিক্ষণে দেখা দিচ্ছে নানান শারীরিক সমস্যা। আট থেকে আশি অনেকেই ভুগছেন নানান সমস্যায়। কারো গায়ে জ্বর, তো কেউ আবার ত্বক ও চুলের সমস্যায় জর্জরিত। এমন অবস্থায় কিভাবে সুস্থ রাখবেন নিজের শরীরকে? এক্ষেত্রে মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়ম। এইসব নিয়ম মেনে চললে শীতের শুরুতেই সুস্থ থাকবে আপনার শরীর।
তবে এই শীতে নানা সমস্যার সমাধান করতে পারে রান্নাঘরের একটি জিনিস। রান্নাঘরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল সর্ষের তেল। এই সর্ষের তেল দিয়েই শীতের অনেক সমস্যাকে দূরে রাখা যায়।শীতকালে ত্বক ত্বক, মাসল ও হাড়ের যত্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল মালিশ বা ম্যাসাজ। আর খাঁটি সর্ষের তেল ব্যবহার করতে পারেন এক্ষেত্রে। তবে তার আগে তেলটিকে একটি পাত্রে নিয়ে রোদে রেখে দিন আধঘন্টা। হালকা গরম হলে হালকা হাতে শিশুর গোটা শরীরে ম্যাসাজ করুন। এতে ভালো থাকবে শিশুর ত্বক ও হাড় দুইই। এছাড়াও সর্ষের তেলের বেশ কিছু গুনাগুন দেখে নিন নিবন্ধের বাকি অংশ থেকে।
● ত্বক ভালো রাখতে: শীতকালে মূলত ত্বক রুক্ষ্ম ও শুষ্ক হয়ে যায়। তবে ত্বকের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে সর্ষের তেল। এটি ত্বকের মশ্চারাইজার রূপে।
● ঠোঁটের যত্নে: শীতকালে অনেকেরই ঠোঁট ফেটে যায়। আর এই ঠোঁট ফাটার সমস্যা খুবই অস্বস্তিকর। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে খাঁটি সর্ষের তেল। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ঠোঁটে সর্ষের তেল মালিশ করুন। এতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মিলবে মুক্তি।
● ট্যান দূর করতে: সর্ষের তেলের একটু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ভিটামিন-ই। এই ভিটামিন ত্বকের নানা সমস্যা দূর করে। এই শীতে যাদের ত্বকে ট্যান পড়ার সমস্যা থাকে, তাদের ক্ষেত্রে সর্ষের তেল দারুন উপকারী হতে পারে।
● বার্ধক্য রোধে: সর্ষের তেলে রয়েছে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন-ই ও ভিটামিন-এ। এই কারণেই নিয়মিত ত্বকে খাঁটি সর্ষের তেল ম্যাসাজ করলে ত্বকের বলিরেখা দূর হয়। এর ফলে বার্ধক্য থাকে সহস্র যোজন দূরে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। যেকোনো শারীরিক সমস্যায় আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া শ্রেয়।