ভারতকে প্রাচীন সংস্কৃতির পীঠস্থান বলে পরিচয় দেওয়া হয় দেশবিদেশে। আর এই দেশের অন্যতম প্রাচীন একটি শাস্ত্র হল বাস্তুশাস্ত্র। বহু শতাব্দী ধরে এই শাস্ত্র আমাদের বসতবাড়ি সাজানো গোছানোর বিষয়ে নানা তথ্য দিয়ে আসছে। বাড়ির কোথায় কোন জিনিস রাখলে, বাড়িতে লক্ষ্মীর বসবাস হয়, সেই বিষয়েও নানা মত দিয়ে থাকেন বাস্তুবিদরা। তেমনই বাড়িতে কোন গাছ লাগলে, সেই বাড়িতে সমৃদ্ধির দেবীর কৃপা বর্ষণ হয়, সেই বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন জিনিসের প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে বাস্তুশাস্ত্রে।
আমাদের জীবনে উপর বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে আমাদের জীবনযাত্রার ধরণ ও আমাদের নানা নিত্য অভ্যাস। কারণ আমাদের কিসবু অভ্যাস বা কাজে অত্যন্ত রুষ্ট হন দেবী লক্ষ্মী। সেই কারণেই রোজগার করলেও যেন অর্থাভাব আমাদের পিছু ছাড়েনা। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ভাগ্যের দরজা খুলতেই চায়না। কারণ ফলাফল পেতে হলে চেষ্টার সঙ্গে ভাগ্যের সঙ্গ পাওয়াটাও একইভাবে জরুরি। আর এইসব বিষয়ে কিছু বিধান দেওয়া হয় বাস্তুশাস্ত্রে। বাড়ির দরজার বিষয়েও রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। বেশ কয়েকটি কাজ বাড়ির দরজায় করলেই কিন্তু ভাগ্যে নেমে আসবে অন্ধকার। একনজরে দেখে নিন এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তথ্য।
● দরজায় নোংরা রাখা: আমরা অনেকেই বাড়ির ভেতরের দিকে ঝাড়ু দিয়ে সেইসব নোংরা দরজার পাশে বা দরজার নীচে জমা করে দিই। কিন্তু এমন কাজে অত্যন্ত রুষ্ট হন দেবী লক্ষ্মী। দরজার পাশে কখনোই নোংরা ফেলে রাখা উচিত নয়। এমনটা হলে ভাগ্যের অন্ধকার ঘুচবে না কোনদিনই।
● দরজায় বসে আড্ডা দেওয়া: অনেকেই রয়েছেন যারা দরজায় বসে আড্ডা দিতে বা গল্প করতে পছন্দ করেন। এমনটা করাটাও কিন্তু উচিত নয়। এমন অভ্যাসে অখুশি হন দেবী লক্ষ্মী। তাই দরজায় বসে এমন কাজ মোটেই করবেন না।
● নোংরা জুতো পরে দরজা পারাপার করা: অনেকসময় বাইরে থেকে নোংরা জুতো পরে আমরা দরজা পেরিয়ে ঘরে ঢুকে যাই। কিন্তু এমন অভ্যাস আমাদের জীবনে ডেকে আনতে পারে দুর্দশার অন্ধকার। তাই নোংরা জুতো আগে পরিষ্কার করে তারপরেই দরজা পার করুন। এতে সন্তুষ্ট হবেন দেবী লক্ষ্মী।
● দরজায় খাবার ফেলে রাখা: অনেকসময় দরজার কাছে বসে বসে খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকের মধ্যে। এই অভ্যাস মোটেই ভালো নয়। এছাড়াও খেতে খেতে খাবার পড়ে গেলে বা দরজার উপর পড়ে থাকা খাবারের টুকরো পরিষ্কার না করলেই অসন্তুষ্ট হন দেবী লক্ষ্মী। এতে ভাগ্যের চাকা কখনোই ভালো দিকে ঘুরবে না।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য ও অনুমানের উপর লেখা হয়েছে। কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের অভিপ্রায় নয়।