প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Electric Car: ভারতেই তৈরি হবে Maruti Suzuki-র এই ইলেকট্রিক গাড়ি, ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাবে শীঘ্রই

বিগত কয়েকমাসে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় বর্তমানে পেট্রোল বা ডিজেল চালিত গাড়ি রাখা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে মধ্যবিত্তদের কাছে। সেই কারণেই ভারতীয় গাড়ির বাজারে দিন…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

বিগত কয়েকমাসে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় বর্তমানে পেট্রোল বা ডিজেল চালিত গাড়ি রাখা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে মধ্যবিত্তদের কাছে। সেই কারণেই ভারতীয় গাড়ির বাজারে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা। পেট্রোল ও ডিজেলের অগ্নিমূল্য হওয়ার কারণে সকলেই এখন ই-ভেহিকেল-এর দিকে হাত বাড়াচ্ছেন। দু’চাকা থেকে চার’চাকা, সবেতেই ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা তুঙ্গে। আর এই বাজারে বেশ ভালো নামডাক হয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি দেশি কোম্পানির। সম্প্রতি সম্প্রতি ই-ভেহিকেলের বাজারে এসেছে কিছু ভিনদেশি কোম্পানিও।

তবে এই ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে এখনো অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে মারুতি সুজুকি। পেট্রোল ও ডিজেল গাড়ির বাজারে অনেকবার ‘বেস্টসেলার’ হলেও ই-ভেহিকেলে সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি এই নির্মাতা সংস্থা। কিন্তু এবার এই বাজারে এন্ট্রি নিতে চলেছে মারুতি সুজুকি। জানা গেছে, এবার তারা ইলেকট্রিক বাড়ি বানাবে ভারতের বুকেই। আর এই খবর শুনে আসার আলো দেখছেন অনেক সুজুকি-লাভার। কারণ অনেকেই রয়েছেন, যাদের মারুতি সুজুকি গাড়ির প্রতি একটা ভালোবাসা কাজ করে।

সম্প্রতি, গুজরাট সামিটে মারুতি সুজুকি কোম্পানির ই-ভেহিকেলের প্রটোটোইপ eVX-এর আপডেটেড ভার্সন প্রদর্শিত হয়েছে। একইসঙ্গে কোম্পানি ঘোষণা করে দিয়েছে যে এবার থেকে এই গাড়ি ভারতের বুকেই নির্মাণ করা হবে। গুজরাট ভাইব্র্যান্ট সামিট ২০২৪-এর মঞ্চ থেকে সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের প্রতিনিধি ডিরেক্টর এবং সভাপতি তোশিহিরো সুজুকি বলেন, এই গাড়িটি ভারতে তৈরি হবে। একইসঙ্গে তিনি জানান যে ২০২৪ সালের শেষের দিকে এটিকে বাজারে উপলব্ধ করা হবে।

এই সামিটের মঞ্চ থেকে তোশিহিরো সুজুকি আরো জানান যে ভারতের বুকে উৎপাদিত এই গতি বিদেশেও রপ্তানি করা হবে। এই মর্মে কোম্পানি গুজরাটে ৩,২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। এর প্রভাব পড়বে গাড়ি উৎপাদনে। কারণ নির্মাতা সংস্থার আশা, এই নতুন বিনিয়োগের ফলে এই ইলেকট্রিক গাড়ির বার্ষিক উৎপাদন ৭.৫ লক্ষ ইউনিট থেকে ১০ লক্ষ ইউনিটে পৌঁছাতে পারে।