জানুয়ারির শুরুতে সেভাবে শীত না থাকলেও জানুয়ারির শেষলগ্নে একটু একটু করে আড়মোড়া ভাঙছে শীত। তাপমাত্রা নামছে স্বাভাবিকের নীচে। শীতের চাদরে প্রবলভাবে মুড়ছে রাজ্য। এখন রাজ্যের বেশিরভাগ জেলাতেই সকাল সন্ধ্যা কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ। রাত বাড়লেই নামছে পারদ। সূর্যাস্তের পরেই শীতের চাদরে ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে জনজীবন। নিম্নচাপ কেটে যেতেই এমন আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলিতে নেমেছে তাপমাত্রা।
আর আমাদের দেশ যেহেতু গ্রীষ্মপ্রধান একটি দেশ, তাই এখানে শীতকাল মানেই একটু স্পেশ্যাল। তাই শীতের আগমনে যেমন বার করতে হয় সোয়েটার, টুপি, চাদর, তেমনই এই সিজনে বের করতে হয় লেপ, কম্বল, বালাপোষ। তবে আজকাল নরম কম্বল বা ব্ল্যাংকেট ব্যবহার করা হয় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই। কারণ তুলোর তৈরি লেপ বা বালাপোষের থেকে ব্ল্যাংকেট অনেকটাই বেশি আরামদায়ক। কিন্তু এই ধরণের কম্বলকে পরিষ্কার করা অনেকের কাছেই চিন্তার কারণ হয়ে যায়। কারণ সাধারণভাবে কাচা হলে কম্বলের নরম ভাব নষ্ট হয়ে যায়। আবার টাকা দিয়ে ড্রাই ওয়াশ করানোর ক্ষমতা অনেকেরই নেই। তবে বাড়ি থেকেই এই ধরণের ড্রাই ওয়াশ করতে পারবেন সহজে। একনজরে জেনে নিন সেই উপায় সম্পর্কে।
বাড়িতে কম্বলের ড্রাই ওয়াশ করতে হলে লাগবে কয়েকটি সামগ্রী। তবে এই নিযে টেনশনের কারণ নেই। কারণ সাধারণভাবে বাড়িতে থাকা জিনিসপত্র দিয়েই এই কাজটি করা যাবে সহজে। এখন দেখে নিন যে কোন কোন জিনিস দিয়ে এই কাজ করতে পারবেন বাড়িতেই। এর জন্য প্রথমেই লাগবে দেড় থেকে দুই লিটার জল। এছাড়াও তিন থেকে চার চামচ পরিমাণ ভিনিগার, সামান্য বেকিং সোডা, একটা শ্যাম্পুর পাতা, এক চামচ কমফোর্ট এবং এক চামচ স্যাভলন লাগবে এই পদ্ধতির জন্য।
এবার জেনে নিন যে কিভাবে কাজটি করবেন সহজেই। এর জন্য প্রথমেই বেকিং সোডা ও শ্যাম্পু মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এবার সেটি নরম একটি ব্রাশে লাগিয়ে ঘষতে থাকুন কম্বলের উপরে। এতে কম্বলের উপরিভাগের ময়লা উঠে যাবে। এবার জলকে হালকা গরম করে নিন। এই গরম জল আলতো করে কম্বলের উপর স্প্রে করুন। এতে নোংরা উঠে যাবে। তারপর একটি তোয়ালে ভিজিয়ে নিন জলে। এবার সমতল স্থানে কম্বলটি পেতে তোয়ালে দিয়ে সেটিকে মুছে নিন। এরপর স্যাভলন ও কমফোর্ট দিয়ে ঘষে শুকিয়ে নিন। ব্যাস, তাহলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে আপনার কম্বল।