করোনাকালীন সময়ের পর থেকেই দেশজুড়ে বেড়েছে বেকারত্ব। বিশেষ করে বাংলার বুকে বেকারত্বের ছবিটা দিন দিন স্পষ্ট হয়েছে। আর এই ইস্যু নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষের সুরে নানা কোথে বলেছে বিজেপি, সিপিআইএম ও কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলি। একইসঙ্গে রাজ্যের ক্রীড়াবিদদের চাকরি পাওয়া নিয়েও নানা কুকথা শোনা গিয়েছে বিরোধী পক্ষ থেকে। যদি রাজ্যের তরফে বারবার সেসবের জীবন দেওয়া হয়েছে। তবে ইতিপূর্বে, বেকারত্বের কলঙ্ক যেন মুছে ফেলতে পারেনি সরকার। তবে এবার বিরোধীদের এই কটাক্ষের জবাব দিতে বড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার রাজ্যের ক্রীড়াবিদদের চাকরি নিয়ে নতুন ব্যবস্থা আনার পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরে পদক বিজেতা সকল ক্রীড়াবিদদের চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে গতি আনতে তিনি রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপর এক বকর দায়িত্ব দিলেন। বৃহস্পতিবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে রাজ্যের ক্রীড়াবিডদদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার ঘোষণা মোতাবেক, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্টকরে পদকজয়ী রাজ্যের ক্রীড়াবিদদের চাকরি দেওয়া হবে। আগ্রহীদের তিনি সত্তর ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কাছে বায়োডাটা জমা করার কথাও বলেন।
এই মর্মে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জঙ্গলমহল কাপ, সৈকত কাপ, রাঙামাটি কাপ, সুন্দরবন কাপ, হিমাল তরাই-ডুয়ার্স কাপ-সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আমরা করি। যারা রানার্স আর চ্যাম্পিয়ন হয়, তাদের আমরা পুলিশে চাকরি দিই। ইতিমধ্যেই আমরা প্রায় ৪৩০০ জন খেলোয়াড়কে চাকরি দিয়েছি।” নতুন চাকরি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, “যাঁরা পুরস্কার পেলেন, তাঁদের মধ্যে কেউ যদি মনে করেন চাকরি করতে ইচ্ছুক, আমি তাঁদের বলব তাঁদের বায়োডেটা অরূপ বিশ্বাসের হাতে দিয়ে দিন। কারণ আমি চাই আমাদের স্পোর্টসের ছেলে-মেয়েদের কেরিয়ার থাকলে কেরিয়ার তৈরি করবে। যারা সোনা, রুপো বা ব্রোঞ্জ বিজয়ী তারা সরকারি চাকরি পাবে। আমরা একটা বিশেষ ব্যবস্থা করে, নতুন আইন করে তার মধ্যে দিয়ে আপনাদের নিয়ে আসব। আমি মুখ্যসচিবকে আগেই বলেছি, কাগজপত্র তৈরি করতে। আপনারা সব সময় স্বাগত।”
তবে এখন হয়তো অনেকেই ভাবছেন যে কিভাবে ক্রীড়া মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা সম্ভব। অনেকেই আবার বিষয়টি নিয়ে ঠিকঠাক সন্ধিহান হচ্ছেন না। তবে সকলের মনের দ্বিধা দূর করতে মুখ্যমন্ত্রী আরো একটি ঘোষণা করেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজকে যাঁরা পুরস্কার পেলেন বা ভবিষ্যতে যাঁরা পাবেন, তাঁদের জন্য ক্রীড়া দফতরে একটা ডেস্ক রাখতে। যাতে খেলোয়াড়েরা কাউকে না খুঁজে, বিভ্রান্ত না হয়ে তাদের বায়োডেটা সেখানে জমা দিতে পারে।”