দীর্ঘ পাঁচ শতাব্দী পর ফের রাম জন্মভূমি অযোধ্যার বুকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন ভগবান শ্রী রাম। বছর পাঁচেকের রামলালা রূপেই তিনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন মন্দিরে। সোমবার অভিজিৎ মুহূর্তে মন্দিরের প্রধান যজমান হিসেবে ভগবান রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে ফাম ভক্তদের ভক্তির সুনামি ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। দেশের প্রায় সব রাজ্যেই এদিন পরিস্থিতি ছিল উৎসবমুখর। দেশবাসী বাড়িতেও এই রাম মহোৎসব পালন করেছেন ওইদিন। এককথায়, রাম মন্দিরের উদ্বোধন অযোধ্যায় হলেও দেশের কোটি কোটি মানুষের মনে এক অনন্য অনুভূতির প্রকাশ ঘটিয়েছে এই বিশেষ অনুষ্ঠান।
উদ্বোধনের পর দিন অর্থাৎ, ২৩ শে জানুয়ারি থেকেই সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে গিয়েছে রাম মন্দিরের দরজা। অনেকেই রাম মন্দিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করে নিয়েছেন ইতিমধ্যে। অনেকেই ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন রাম মন্দিরে। বলা যায়, মঙ্গলবার থেকেই থিকথিকে ভিড় চোখে পড়ছে রামরাজ্য অযোধ্যায়। সকলের মনে একটাই আশা, রামলালাকে একবার চাক্ষুষ করা। তবে শুধুমাত্র ভগবানের দর্শন নয়, সেই সঙ্গে প্রনামী বা দান হিসেবে রাম মন্দিরে কিছু করে টাকাও দিয়ে আসছেন অনেকেই। আর এবার সেই দানের অর্থের হিসেব সামনে নিয়ে এল রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট।
জানা গেছে, যেদিন থেকে রামলালার মন্দির খুলে দেওয়া হয়েছে ভক্তদের জন্য, সেই দিন থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছে মন্দির চত্বরে। নানা রাজ্য থেকে পুণ্যার্থীরা আসছেন রামলালার দরবারে। আর ভক্তদের দর্শনের পাশাপাশি তাদের দানের জন্য মোট ১০ টি কাউন্টার খোলা হয়েছে বলে জানা গেছে। আর এই ১০ টি কাউন্টারে কোটি কোটি টাকার দান জমা পড়েছে ইতিমধ্যে। আর এবার প্রথম দিনের দানের হিসেব প্রকাশ্যে আনলো রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের অছি পরিষদ। জানা গেছে, প্রথম দিনেই দান হিসেবে জমা পড়েছে ৩ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা। এর সঙ্গে অনলাইনেও লাখ লাখ টাকা জমা পড়েছে বলে জানা গেছে।
তবে রাম মন্দিরের জন্য দান নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০২০ সালেই। জানা গেছে, এখনো অবধি মোট ৫০০০ কোটি টাকার অনুদান জমা পড়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি অনুদান দিয়েছেন ধর্মগুরু মোরারি বাপু। তিনি মোট ১১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার অনুদান দিয়েছেন। এছাড়াও গুজরাটের এক হিরে ব্যবসায়ী দিয়েছেন ১১ কোটি টাকার অনুদান। হিরে ব্যবসায়ী গোবিন্দভাই ঢোলাকিয়া দিয়েছেন এই বিপুল পরিমাণ টাকা। এছাড়াও আরও অনেক হিরে ব্যবসায়ী অনেক টাকার অনুদান দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন মহেশ কবুতরওয়ালা। তিনি দিয়েছেন ৫ কোটি টাকা। এছাড়াও লোভেজি বাদশা দিয়েছেন ১ কোটি টাকার অনুদান এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর দিয়েছেন ১ কোটি টাকার অনুদান।