সময়ের সঙ্গে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বিগত পাঁচ বছর আগের থেকে এখন মানুষের জীবনধারা অনেক বেশি বদলে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সাংসারিক খরচও। বলা বাহুল্য, এখন একটি ‘মাইক্রো-ফ্যামিলি’তেও একজনের উপার্জনে সংসার চলে না। তাই পরিবারের একজন চাকরি করলেও তিনি আবার অন্য উপার্জনের পথ খুঁজতে থাকেন। আর এই কারণেই বাড়ির মধ্যে বসেই ছোটখাটো ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন অনেকেই। অনেকে যদিও এই ধরণের ব্যবসা শুরুও করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে।
কিন্তু ব্যবসা শুরুর কথা ভাবা আর ব্যবসা শুরু করার মধ্যে একটা বিস্তর ফারাক রয়েছে। কারণ একটি ব্যবসা শুরু করতে গেলে অনেকগুলি বিষয় আগে থেকে ভেবে রাখতে হয়। ব্যবসা শুরু করতে গেলে মূলধন থেকে কাঁচামালের যোগান এমনকি দ্রব্যের বিক্রয়স্থল খুঁজতে হিমশিম খেয়ে যান অনেকেই। তবে এই প্রতিবেদনে আপনার জন্য এমন একটি ব্যবসার সন্ধান রয়েছে যা থেকে আপনি ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। তাই সবার আগে এই আইডিয়া জেনে নিয়ে শুরু করে দিন এই ব্যবসা।
এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করবো আচার ব্যবসা সম্পর্কে। আচার হল এমন একটি খাদ্যদ্রব্য, যা পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়। আজকাল অনেকেই সময় নিয়ে বাড়িতে আচার তৈরি করতে পারেন না। তাই বাজার থেকে রেডিমেড আচার কিনে এনে খেতেই পছন্দ করেন অনেকে। বিশেষ করে শহর এলাকার মানুষ এই ধরণের আচার বেশি কিনে থাকেন। তাই আপনি যদি আচার তৈরি করতে জানেন, তাহলে আপনার কাছে এটি রোজগারের একটি দারুন বিকল্প হতে পারে। বিশেষ করে মহিলারা এই ধরণের ব্যবসা করে দারুন লাভ করতে পারবেন। বর্তমানে মালদহ জেলার কিছু মহিলা এই ব্যবসা করে লক্ষ্মীলাভের দিশা দেখাচ্ছেন।
বিভিন্ন ফলের আচার হয়ে থাকে। এর মধ্যে জনপ্রিয় হল আমের আচার। তবে আজকাল অনেকেই লেবুর আচার, মিক্স আচার, রসুনের আচার, খেজুরের আচার খেতে পছন্দ করেন। তাই সিজন অনুযায়ী সস্তায় ফল কিনে আনুন। এবার নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সেগুলিকে শুকিয়ে নিন। তারপর আচার তৈরি করুন। এক্ষেত্রে তেল ও মশলা লাগবে কাঁচামাল হিসেবে। এবার আচার তৈরি হয়ে গেলে সেগুলি কাঁচের জারে ভরে নিন ওজন করে। এবার সেগুলিকে লেবেলিং করে বাজারজাত করুন। সঠিকভাবে এই ব্যবসা করতে পারলে প্রতিমাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
