শীত পড়েছে জাঁকিয়ে। আর এই শীতে অনেকেই বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, অনেকেই আবার করেই ফেলেছেন ট্যুর প্ল্যান। কিন্তু বাইরে দিন দুয়েক কাটাতে গেলেই প্রয়োজন পড়ে হোটেলের। সারাদিন ঘুরে বেড়িয়ে কাটানো গেলেও রাতের বিশ্রাম কিন্তু হয় কোনো এক ছাদের নিচে। তাই এই ধরণের পর্যটন স্থানগুলোতে গড়ে ওঠে অনেক হোটেল। তবে সম্প্রতি অনলাইন বুকিং সহ একাধিক সুবিধা দিয়ে থাকে OYO হোটেলগুলি। কিন্তু এবার এই হোটেলে রাত কাটানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়মের পরিবর্তন করা হচ্ছে। এগুলি না জানলে সমস্যায় পড়তে পারেন আপনিও।
হোটেল রুমে কোনোরকম উৎপাত বা বাধা ছাড়াই কাটানো যায় অন্তরঙ্গ মুহূর্ত। আর মানুষকে এইসব সুবিধা একটু বেশি পরিমাণে দিয়ে থাকে OYO হোটেলগুলি। সেই কারণেই দিনের পর দিন বেড়েছে OYO হোটেলের কদর। তবে এইসব হোটেলে অনেক বেআইনি কাজকর্মও হয়ে থাকে। অনেক সময় অনেক হোটেলে বেশি টাকার বিনিময়ে কোনোরকম বৈধ নথি ছাড়াই অতিথিদের রুম দিয়ে দেওয়া হয়। আর এই বিষয়টি বেশি ঘটে থাকে OYO হোটেলগুলিতেই। কোনো কোনো সময় কোনো হোটেলে মধুচক্রের আসর বসে। এর ফলে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনাও উঠে আসে সংবাদ শিরোনামে। সেই কারণে একদিকে আবার OYO হোটেল কোম্পানির বদনামও হয়ে থাকে।
তবে এবার এই বিষয়গুলিকে ভালোভাবে নজর দিয়ে দেখছে প্রশাসন। এই বিষয়ে এবার কলকাতার ৩০ টি OYO হোটেলের মালিকদের নিয়ে বৈঠক করলো কলকাতা পুলিশ। আর এই বৈঠকে হোটেল অপারেটরদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হল কয়েকটি নিয়ম। তার মধ্যে অন্যতম হল কোনোরকম অনৈতিক কার্যকলাপ হোটেলে ঘটলে পুলিশকে জানানোর নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অতিথিদের রুম দেওয়ার আগে বৈধ পরিচয়পত্র জমা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। একইসঙ্গে, হোটেলের বাইরে সিসিটিভি ফুটেজ স্টোর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হোটেল অপারেটরদের।
এই সেমিনারের পর বিষয়টি প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের সাউথ ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার প্রিয়ব্রত বলেন, “ওয়ো পর্যটনের প্রচারে এবং ভারতের মানুষের জন্য আতিথেয়তা পরিষেবাকে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পর্যটন বৃদ্ধির সঙ্গেই আমরা আইনশৃঙ্খলা সমস্যারও সম্মুখীন হচ্ছি। আমি হোটেলগুলিকে নির্দেশ দিচ্ছি, অতিথিদের বৈধ ফটো আইডি কার্ড দেখিয়েই যেন রুম দেওয়া হয়।” এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে ওয়োর চিফ অপারেটিং অফিসার বরুণ জৈন বলেন, “কলকাতা এবং আশেপাশের এলাকায় ওয়োর ৪৫০টিরও বেশি হোটেল আছে। আমরা আমাদের হোটেল অংশীদারদের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। বিশেষ সেশন রাখা হবে যাতে হোটেলে নিরাপত্তা প্রোটোকল বজায় রাখা যায়। শিক্ষিত ও সচেতন করতে হবে।”